পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ করোনার পাশাপাশি নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত হয়েছেন প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীত শিল্পী লতা মঙ্গেশকর। এই মুহূর্তে তিনি মুম্বইয়ের ব্রিচক্যান্ডি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল বয়সজনিত কারণেই তাঁকে আইসিইউ তে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার রাতেই এই কিংবদন্তী শিল্পীকে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে চিকিৎসক প্রতীক সমধানি জানিয়েছেন। এমনটাই জানাচ্ছে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
৯২ বছর বয়সী এই শিল্পীকে ককটেল থেরাপি দেওয়ার কথা ভাবছেন চিকিৎসকরা। উল্লেখ্য সদ্য করোনা আক্রান্ত ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও দেওয়া হয় ককটেল থেরাপি।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলেই এই প্রবাদপ্রতিম শিল্পীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
করোনা কাঁটায় বিদ্ধ বিনোদন জগৎ। একের পর এক তারকা আক্রান্ত হচ্ছেন কোভিডে। বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন লতা মঙ্গেশকর। ১৯৪২ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে একজন পেশাদার কণ্ঠশিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। তারপর আর তাঁকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
সাত দশকে সহস্রাধিক চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন। ভারতের ৩৬টি আঞ্চলিক ভাষা ও বিদেশি ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। গেয়েছেন চলচ্চিত্রের বাইরে আরও অনেক গান।
১৯৭৪ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত বিশ্বে সর্বাধিক গান রেকর্ড করার জন্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম ওঠে তার। এই সময়ে তিনি ২০টি ভাষায় ২৫০০০ এর বেশি গানে কণ্ঠ দেন। কিন্তু ২০১১ সালে এ রেকর্ডটি ভেঙে দেন তারই ছোট বোন আশা ভোসলে।
লতা মঙ্গেশকর ভারতরত্ন, পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন। পেয়েছেন দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার, তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ফিল্মফেয়ার চারবার সেরা মহিলা প্লেব্যাক, ১৯৯৩ সালে আজীবন সম্মাননা এবং ১৯৯৪-২০০৪ সাল পর্যন্ত বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া ১২ বার বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্টস’ অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার।
সারা দেশ জুড়ে সকলেই এই কিংবদন্তি শিল্পীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন।