পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ প্রয়াত সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শারীরিক কিছুটা উন্নতি হলেও সার্বিকভাবে সঙ্কটজনক ছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তবে আজ সন্ধ্যা দিকে শারীরিক অবস্থার আরও কিছুটা অবনতি হয়। তার যে অস্ত্রোপচার হয়েছিল সেখানেও আজ নতুন করে যন্ত্রণা শুরু হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিট নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বর্ষীয়ান সঙ্গীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের।
গত ২৩ জানুয়ারি বাথরুমে পড়ে গিয়ে চোট পান সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তার পর থেকেই আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন শিল্পী। গত ২৭ জানুয়ারি তাঁকে প্রথমে এসএসকেএম ও পরে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যুর শেষদিন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন গীতশ্রী।
হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, তাঁর ঊরুর হাড় ভেঙেছে। তাঁর কোমরে চোট আছে যেখানে ‘কনসার্ভেটিভ ট্রিটমেন্ট’ চলছিল। শুধুমাত্র ওষুধের উপর চিকিৎসা চলছিল। শিল্পীর পর্যবেক্ষণে ছিলেন পাঁচ সদস্যের বিশেষজ্ঞ টিম। কার্ডিওথোরাসিক সার্জারি বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার সুশান মুখোপাধ্যায়, কার্ডিওলজির প্রধান ডাক্তার প্রকাশচন্দ্র মণ্ডল, এবং ডাক্তার দেবরাজ যশ (পালমনোলজি), ডাক্তার সুরেশ রামাসুব্বন (ক্রিটিক্যাল কেয়ার) ও বিডি চট্টোপাধ্যায় (অর্থোপেডিক্স)-এর বিশেষজ্ঞ দল।
গত বৃহস্পতিবার আচমকাই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের। গ্রিন করিডর করে প্রথমে এসএসকেএম ও পরে বাইপাস সংলগ্ন অ্যাপোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। জানা যায় তিনি তিনি কোভিড পজিটিভ। ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে– রয়েছে হৃদযন্ত্রের সমস্যাও। এসএসকেএম ভর্তি হওয়ার পর তাঁকে তড়িঘড়ি দেখতে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। হাসপাতালে দাঁড়িয়ে তিনি জানান– করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তাঁকে অ্যাপোলোতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এসএসকেএমে উডবার্ন ইউনিটে একটি বিশেষজ্ঞ টিমও সঙ্গে সঙ্গে তৈরি করা হয়েছিল। চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায়কেও আনা হয় সেখানে। সবার সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসা এগোচ্ছিল। চিকিৎসকরা জানান, হার্টের একটা সমস্যা হয়েছে। পরে জানা যায় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। ওনাকে অ্যাপোলোতে স্থানান্তরিত করতে হয়।