পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : অধ্যবসায় আর নিষ্ঠা এই ছিল ‘ভারতরত্ন’ লতা মঙ্গেশকরের সাফল্যের চাবিকাঠি। আপামর দেশবাসীকে কাঁদিয়ে রবিবার সুরলোকে পাড়ি দিলেন তিনি। রেখে গেলেন একশো কোটির সম্পত্তি, নামী-দামী গাড়ি। আর চিরদিনের সুর।
বিভিন্ন রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে সুরসম্রাজ্ঞীর মাসিক আয় ছিল প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। বছরে পেতেন প্রায় ৬ কোটি টাকা। সেই অর্থ আসত তাঁর গানের রয়্যালিটি থেকে। কোনও কোনও রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ‘নাইটেঙ্গল অফ ইন্ডিয়া’র সম্পত্তির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৭০ কোটি টাকা। কেউ কেউ অবশ্য দাবি করেছেন, তিনশো কোটি নয়, সম্পত্তির পরিমাণ ১০৭-১১৫ কোটি।
লতা মঙ্গেশকরের বাড়ির কথা বলতে গেলে, তিনি মুম্বইতে ‘প্রভু কুঞ্জ’-এ থাকতেন, যা এত বড় যে প্রায় ১০টি পরিবার সেখানে আরামে থাকতে পারে।
একাধিকবার সাক্ষাৎকারে গাড়ির প্রতি তাঁর ভালবাসার কথা বলেছেন লতা। কেরিয়ারের শুরুতে তাঁর ছিল একটি শেভরলে। মায়ের নামে গাড়িটি কিনেছিলেন ইন্দোর থেকে। লতার গ্যারেজে ছিল বুইক এবং ক্রিসলার। পরে যশরাজের তরফে তাঁকে একটি মার্সিডিজ উপহার দেওয়া হয়।
লতা ১৯৬৯ সালে পদ্মভূষণ, ১৯৮৯ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার, ১৯৯৯ সালে পদ্মবিভূষণ, ২০০১ সালে ভারতরত্ন এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের জন্য ইয়ার ওয়ান টাইম পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এগুলি ছাড়াও, লতা পরিচয় চলচ্চিত্রের জন্য ১৯৮২ সালে, ১৯৭৪ সালে কোরা-কাগজ চলচ্চিত্রের জন্য এবং ১৯৯০ সালে লেকিন চলচ্চিত্রের জন্য অর্থাৎ ব্লোব্যাক গায়িকার জন্য ৩ বার জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হন।