ইডির পর এবার সিবিআইয়ের স্ক্যানারে লালু পুত্র তেজস্বী যাদব, চাকরি দুর্নীতিতে আজ তলব

- আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৩, শনিবার
- / 10
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সিবিআই, ইডির স্ক্যানারে লালু প্রসাদ যাদবের পরিবার। সেই কথাই সামনে আসছে বার বার। গতকাল লালু প্রসাদ যাদবের পুত্র বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। বিগত এক সপ্তাহ ধরে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব, তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। চাকরি দুর্নীতির প্রবল চাপে লালু প্রসাদ যাদবের পরিবার। শনিবার সকালে তেজস্বী যাদবের বাড়িতে সমন পাঠায় সিবিআই। শনিবার সকালেই চাকরি দুর্নীতি মামলায় তাকে তলব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই তেজস্বী যাদবের দিল্লির বাড়িতে হানা দেয় ইডি। এরপরে আজ সিবিআইয়ের কাছ থেকে তলব গেল তেজস্বী যাদবের কাছে।
এর আগে গত ৪ মার্চ সিবিআই জমির বদলে চাকরির দুর্নীতি মামলায় জেরার জন্য হাজিরা দেওয়ার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়য় হাজিরা দেননি তেজস্বী। আজ ফের দুপুরের মধ্যে তাঁকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে হওয়া এই দুর্নীতির তদন্তই নতুন করে শুরু করেছে সিবিআই-ইডি। গোটা ঘটনা অস্বস্তি বাড়িয়েছে আরজেডি পরিবারের।
গতকাল, ১০ মার্চ তেজস্বী যাদবের দিল্লির বাড়িতে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। ঘণ্টাখানেক ধরে তল্লাশি চলে। তবে কোনও গুরুত্বপূর্ণ নথি-তথ্য পাওয়া গেছে কিনা, সেই সম্পর্কে এখনও কিছু পাওয়া যায়নি।
সিবিআইয়ের চার্জশিট অনুযায়ী, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে এই দুর্নীতি হয়। ভারতীয় রেলওয়ের অধীনে থাকা পুরী ও রাঁচীর হোটেল প্রথমে আইআরসিটিসির হাতে তুলে দেওয়া হলেও, পরে তা পটনার সুজাতা হোটেল প্রাইভেট লিমিটেড নামক একটি বেসরকারি সংস্থাকে লিজ দেওয়া হয়। পরে তদন্তে নেমে জানা যায়, জলের দরে বা উপহার হিসাবে জমি দেওয়ার পরিবর্তে ভারতীয় রেলওয়েতে চাকরির সুযোগ দেওয়া হত। যাদব পরিবার ও তাদের ঘনিষ্ঠরাই এই দুর্নীতিতে উপকৃত হয়েছিলেন। সিবিআইয়ের চার্জশিটে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব, তাঁর স্ত্রী তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী ও ১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আগামী ১৫ মার্চ চার্জশিটে উল্লেখ করা সমস্ত ব্যক্তিদের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।