২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কলকাতার যমজ শহর হাওড়াতেও এবার পর্যটনে বিশেষ উদ্যোগ, দেখা যাবে গঙ্গাবক্ষে আরতি

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ১ সেপ্টেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 19

আইভি আদক, হাওড়া: ২০১১ সালে ৩৪ বছরের বাম সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পর্যটনে বিশেষ গুরুত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র গুলিকে ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। তিলোত্তমার গঙ্গার ঘাটগুলিকে সৌন্দর্যায়নের বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়। কলকাতার যমজ শহর হাওড়াতেও এবার নেওয়া হল একই ধরনের উদ্যোগ।

 

হরিদ্বার বারাণসীর ধাঁচে এবার গঙ্গা আরতি দেখার সুযোগ মিলবে হাওড়ায়। আগামী দিনে গঙ্গাবক্ষে নৌকায় করে এই আরতি দেখা যাবে। বালির কেদারঘাটে এই গঙ্গা আরতির সূচনা হয় বুধবার রাতে গণেশ চতুর্থীর পুণ্য তিথিতে। বিধায়ক ডাঃ রাণা চট্টোপাধ্যায়ের আশা ভবিষ্যতে রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রেও এটা জায়গা করে নেবে।

প্রতি সপ্তাহে একদিন করে গঙ্গা আরতি হবে বলে জানান বিধায়ক। তিনি বলেন, “কথায় আছে, গঙ্গার পশ্চিম কুল, বারাণসীর সমতুল। হরিদ্বার এবং বেনারসের অনুকরণে বালিতেও শুরু হলো গঙ্গা আরতি। প্রথম দিনেই স্থানীয় মানুষের ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। এ এক অভূতপূর্ব আয়োজন। আমি ভীষণ খুশি। আমরা আশা করব আগামী দিনে এই গঙ্গা আরতি এক অন্য মাত্রায় পৌঁছবে। ভবিষ্যতে রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে এটা জায়গা করে নেবে। যাতে করে মানুষ নৌকায় আরতি দেখতে আসবেন। আরতি মানে শুধু ভক্তি বা ধর্ম নয়, এর মাধ্যমে মানুষের মহামিলনে সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হবে।”

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কলকাতার যমজ শহর হাওড়াতেও এবার পর্যটনে বিশেষ উদ্যোগ, দেখা যাবে গঙ্গাবক্ষে আরতি

আপডেট : ১ সেপ্টেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার

আইভি আদক, হাওড়া: ২০১১ সালে ৩৪ বছরের বাম সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পর্যটনে বিশেষ গুরুত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র গুলিকে ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। তিলোত্তমার গঙ্গার ঘাটগুলিকে সৌন্দর্যায়নের বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়। কলকাতার যমজ শহর হাওড়াতেও এবার নেওয়া হল একই ধরনের উদ্যোগ।

 

হরিদ্বার বারাণসীর ধাঁচে এবার গঙ্গা আরতি দেখার সুযোগ মিলবে হাওড়ায়। আগামী দিনে গঙ্গাবক্ষে নৌকায় করে এই আরতি দেখা যাবে। বালির কেদারঘাটে এই গঙ্গা আরতির সূচনা হয় বুধবার রাতে গণেশ চতুর্থীর পুণ্য তিথিতে। বিধায়ক ডাঃ রাণা চট্টোপাধ্যায়ের আশা ভবিষ্যতে রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রেও এটা জায়গা করে নেবে।

প্রতি সপ্তাহে একদিন করে গঙ্গা আরতি হবে বলে জানান বিধায়ক। তিনি বলেন, “কথায় আছে, গঙ্গার পশ্চিম কুল, বারাণসীর সমতুল। হরিদ্বার এবং বেনারসের অনুকরণে বালিতেও শুরু হলো গঙ্গা আরতি। প্রথম দিনেই স্থানীয় মানুষের ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। এ এক অভূতপূর্ব আয়োজন। আমি ভীষণ খুশি। আমরা আশা করব আগামী দিনে এই গঙ্গা আরতি এক অন্য মাত্রায় পৌঁছবে। ভবিষ্যতে রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে এটা জায়গা করে নেবে। যাতে করে মানুষ নৌকায় আরতি দেখতে আসবেন। আরতি মানে শুধু ভক্তি বা ধর্ম নয়, এর মাধ্যমে মানুষের মহামিলনে সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হবে।”