নিজস্ব প্রতিনিধি: মাত্র সাত মাসেই যে ছবিটা এমন বদলে যাবে ভাবতে পারেননি ওঁরা। সাত মাস আগে বিধানসভা ভোটের সময়ে পাড়ায়-পাড়ায় দলীয় কার্যালয়ে চেনা-অচেনা কর্মী-সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়েছিল। শাসকদলের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে লড়াই করতে ঝাঁপিয়ে পড়ার লোকের অভাব ছিল না। কিন্তু সাত মাসেই ছবিটা আমূল বদলেছে। পুরভোটে লড়াইতে নেমে কার্যত আতান্তরে পড়েছেন অধিকাংশ ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী। শাসকদলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কতটা লড়াই দেওয়া যাবে, তা নিয়ে যথেষ্টই সন্দিহান। বেশ কয়েকজন প্রার্থী ইতিমধ্যেই দলের রাজ্য নেতৃত্বকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ‘জেতার আশা করবেন না। জামানত বাঁচলেই যথেষ্ট হয়েছে বলে মনে করবেন।’
কেন দলের এমন বেহাল দশা? সেই প্রশ্নের স্পষ্ট কোনও জবাব দিতে চাননি বঙ্গ বিজেপির পদাধিকারীরা। রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘শাসকদল লাগাতার হুমকি দিয়ে চলেছে। ফলে অনেকেই ভয়ে প্রচারে নামছেন না।’ নেতারা কেন প্রচার এড়িয়ে যাচ্ছেন, জানতে চাইলে তাঁর জবাব, ‘দলের রাজ্য নেতারা অবশ্যই প্রচারে নামবেন। প্রার্থীরা কাকে কাকে প্রচারে চান, তার তালিকা দিতে বলা হয়েছে। সেই তালিকা পেলেই নেতাদের প্রচার কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে।’ দলের প্রচার কমিটির মাথায় যিনি রয়েছেন, সেই তৃণমূল থেকে জার্সি বদল করে বিজেপিতে নাম লেখানো দীনেশ ত্রিবেদী অবশ্য এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
আর মাত্র আটদিন বাদে পুরভোট। প্রচারের জন্য হাতে রয়েছে ছয়দিন। কিন্তু মধ্য কলকাতা থেকে দক্ষিণ কলকাতা, উত্তর কলকাতা থেকে দক্ষিণ শহরতলী- বিজেপি প্রার্থীদের প্রচার তেমনভাবে চোখেই পড়ছে না। ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে যিনি দলীয় প্রার্থী হয়েছেন সেই রাজর্ষি লাহিড়িকে ছেড়ে নির্দল হয়ে দাঁড়ানো প্রাক্তন কাউন্সিলর তিস্তা বিশ্বাসের স্বামী গৌরব বিশ্বাসের হয়ে প্রচারে নেমেছেন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির ভালো ভোট রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দা জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আক্ষেপের সুরে বলেছেন, ‘সব প্রার্থী বাড়ি এসে ভোট ভিক্ষা করেছেন। কিন্তু বিজেপি প্রার্থিকে চোখেই দেখলাম না।’ ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী রুবি মুখোপাধ্যায় আক্ষেপের সঙ্গে বলেছেন, ‘দরজায়-দরজায় যে প্রচারে যাব, তার জন্য যে কর্মী প্রয়োজন, তা নেই। একা ভোট চাইতে গিয়ে কি লোক হাসাবো?’
গতবার যারা জিতেছিলেন সেই মীনাদেবী পুরোহিত, সুনীতা ঝাওয়ার আর বিজয় ওঝার যেহেতু নিজস্ব সংগঠন ও কর্মী বাহিনী রয়েছে, ফলে তাঁরা মাটি কামড়ে থেকে প্রচার করছেন। বাকি ওয়ার্ডগুলিতে বিজেপি প্রার্থীদের অবস্থা কার্যত ঢাল-তরোয়ালহীন নিধিরাম সর্দারের মতো। বেশ কয়েকজন প্রার্থী অভিযোগ করছেন, ছোট পথসভা বা পদযাত্রার জন্য বেশ কয়েকজন রাজ্য নেতাকে ফোন করেছিলেন। প্রত্যেকেই নানা অছিলায় প্রচারে যাওয়া এড়িয়েছেন। কেউ বলছেন, পরে সময় জানাচ্ছেন, কেউ আবার ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত রয়েছেন বলে ফোন কেটে দিয়েছেন।
ব্রেকিং
- ইন্তেকাল করলেন পীর এস এম আলকাদরী
- তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু গেছে: ইউক্রেনের প্রাক্তন সেনাপ্রধান
- হরিয়ানায় গণনায় কারচুপি করেছে বিজেপি, হাইকোর্টে আবেদন কংগ্রেসের
- পুলিশ নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার করছে, অভিযোগ তুলে শাসন থানায় ডেপুটেশন যুব ফেডারেশনের
- বাঘের পায়ের ছাপ দেখে আতঙ্কে গ্রামবাসী, ‘ভয় নেই’ অভয় দিল বন দফতর
- ট্রেনে তবলা বাদককে খুন-কাণ্ডে হাওড়ায় ডিআরএম-কে ডেপুটেশন দিল আইএনটিটিইউসি
- সোনারপুরের বেসরকারি স্কুলে বোমাতঙ্ক, ঘটনাস্থলে বোম স্কোয়ার্ড
- মমতা বলার পরই শুরু তৎপরতা, আলু পিয়াজের দাম কী কমবে? প্রশ্ন ক্রেতাদের
- জেলাগুলিতে শীতের আমেজ থাকলেও শহরে মিলবে না ঠাণ্ডা
- ‘ময়নাতদন্তের পরেও বেঁচে উঠল লাশ’ ঢোকানো হত চুল্লিতে, রাজস্থানে অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড
- ওবিসি শংসাপত্র বাতিল ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের শুনানি: পরবর্তী তারিখ ৯ ডিসেম্বর
- ভারতকে লড়াইয়ে ফেরালেন বুমরাহ