পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বছরের শুরুতেই বড়সড় সাফল্য ইসরোর। কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজে মহাকাশে পাড়ি দিল দেশের প্রথম এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট। কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাক হোল আজও মানুষের কাছে আজও রহস্য। এবার সেই কৃষ্ণগহ্বরের রহস্য ভেদ করবে এই স্যাটেলাইট। ইসরোর সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে দেশের প্রথম এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট সফলভাবে পাড়ি দিল মহাকাশে।
সোমবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে কৃত্রিম উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। মাহেন্দ্রক্ষণে এক্সপোস্যাটের সফল উৎক্ষেপণে ইসরোর দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটে।
As we enter the New Year, we are elated to witness the successful launch of PSLV-C58/ XPoSat Mission by @isro 🇮🇳
It is India’s first dedicated polarimetry mission to study various dynamics of bright astronomical X-ray sources in extreme conditions.
Many congratulations to all… pic.twitter.com/gN99TmPRmC
— Mallikarjun Kharge (@kharge) January 1, 2024
এদিন ইসরোর এই সাফল্যকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে খাড়গে লিখেছেন, নতুন বছরের শুরুতেই ইসরোর সফল উৎক্ষেপণের মধ্যে দিয়ে একটি সাফল্যের সাক্ষী থাকল দেশ। এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ভারত বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান দখল করল। সকল বিজ্ঞানী, স্পেস ইঞ্জিনিয়ার, গবেষক, গ্রাউন্ড কর্মীদের অভিনন্দন। আমরা গর্বিত যে ইসরোর টিমে বহু মহিলা ইঞ্জিনিয়ার শামিল হয়েছেন। এই বিজয়ী মিশনগুলি বিজ্ঞানী সহ আমাদের সকলের আশা পূরণ করুক’।
প্রসঙ্গত, এই স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ভারত বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান দখল করল। এর আগে একমাত্র আমেরিকার দখলে ছিল এই সাফল্য। এমন গুরুত্বপূর্ণ মিশনের জন্য নতুন বছরের শুরুর দিনটাই বেছে নিয়েছিলেনইসরোর মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। জানা যাচ্ছে, মূলত দুটি অংশের মাধ্যমে মহাকাশে কাজ করবে এক্সপোস্যাট। একটি পোলিক্স বা অপরটি এক্সস্পেক্ট। এই মিশনের আয়ুষ্কাল হবে প্রায় পাঁচ বছর।
পৃথিবী থেকে খুব বেশি দূরে যাবে না এই কৃত্রিম উপগ্রহ। মাটি থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকবে এক্সপোস্যাট। সেখানেই কৃষ্ণগহ্বর এবং উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের খোঁজ করবে ইসরোর এই স্যাটেলাইট। পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে প্রতিনিয়ত তথ্য পাঠাবে ইসরোর কন্ট্রোল রুমে।
পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল রকেটের ৬০ তম মিশন এটি। এই স্যাটেলাইট ১০টি অন্যান্য উপগ্রহের সঙ্গে মূল পেলোড এক্সপোস্যাট বহন করবে, যা নিম্ন পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করা হবে।