নয়াদিল্লি, ৮ অক্টোবর: ভোটের ফলাফলের সবচেয়ে বড় পাঠ হল নির্বাচন নিয়ে কখনই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হওয়া ভালো নয়, হরিয়ানায় বিধানসভার রেজাল্ট থেকে এমনই শিক্ষা নিলেন বলে জানালেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। হরিয়ানায় কংগ্রেসকে টক্কর দিয়ে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। খাতা খুলতে পারেনি আপ। ৯০টি আসনের মধ্যে ৫০টিতে এগিয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবির। বুথ ফেরত সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, এবারের হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নজরকাড়া ফল করবে। কিন্তু ভোটের ফল বের হতে না হতেই সমীক্ষা উলটে গেল। বাস্তবে হরিয়ানায় বিজেপি তৃতীয়বার সরকার গঠন করতে চলেছে। খাটেনি আপের ভবিষ্যদ্বাণীও। কেজরিওয়াল হরিয়ানায় ভোট প্রচারের সময় বলেছিলেন, আপ সমর্থন ছাড়া রাজ্যে কোনও সরকার গঠন করা সম্ভব না। কিন্তু আজ আপের সেই গর্বেরই পতন হল বলা যায়। তার পরেই আত্মসমালোচনা করে হরিয়ানায় ভোটের ফলাফলের থেকে শিক্ষা পেলেন বলেন জানালেন কেজরিওয়াল।
আপ নেতার মন্তব্য, কোনও নির্বাচনকেই হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। প্রতিটি নির্বাচন, প্রতিটি আসনেই লড়াই কঠিন। মঙ্গলবার আপ মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলরদের এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে এই বক্তব্য রাখেন কেজরিওয়াল।
উল্লেখ্য, হরিয়ানায় মুখ থুবড়ে পড়েছে আপ। কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সংখ্যা নিয়ে মতবিরোধ থাকায় হরিয়ানায় জোট গড়তে পারেনি আপ। কংগ্রেস দ্বারা ৯টি আসন দেওয়ার দাবি নাকচ করার পরে আপ রাজ্যের মোট ৯০ টি আসনের মধ্যে ৮৯টি স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। গণনা শুরু হতে দেখা যায় বিজেপি আর কংগ্রেসের থেকে প্রতিটি আসনে পিছিয়ে আপ।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডি-সিবিআইয়ের গ্রেফতারিতে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছিল দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। দীর্ঘ কারাবাসের পর জামিনে মুক্ত হতেই হরিয়ানার নির্বাচনী প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন কেজরিওয়াল। সেই কেজরি দাবি করেছিলেন, আদামী দিনে যে দলই রাজ্যে সরকার গঠন করুক না কেন, তাদের আম আদমির পার্টির সমর্থন নিতেই হবে। তা না হলে কেউই এককভাবে সরকার গড়তে পারবে না। কেজরিওয়ালের ভবিষ্যদ্বাণী খাটল না।
এদিন কেজরিওয়াল দলের কাউন্সিলরদের আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।