নয়াদিল্লি, ১৮ ডিসেম্বর: লোকসভার বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধি, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন । রায়বারেলির সাংসদ সম্প্রতি হাথরাসে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।
হাথরাসের নির্যাতিতার পরিবার এখনও বিচারের জন্য সব জায়গায় যাচ্ছে। রাহুল গান্ধি অভিযোগ তুলে বলেন, তিনি সম্প্রতি নির্যাতিতার বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু যোগী রাজ্যে হাথরাসে দোষীরা বিনা দ্বিধায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেরাচ্ছে। সেখানে নির্যাতিতার পরিবার বাইরে বের হতে ভয় পায়। ইউপি-র পুলিশ দোষীদের আড়াল করে চলেছে বলেও অভিযোগ রাহুলের।
তাঁর সাম্প্রতিক বৈঠকের উদ্ধৃতি দিয়ে মঙ্গলবার রাহুল অভিযোগ করেছেন যে জাতপাত এবং ক্ষমতার এই গোলকধাঁধায় ন্যায়বিচারের কোনও আশা নেই। দলিতদের জন্য এটা অসম্ভব। তিনি তার ইউটিউব চ্যানেলে হাথরাসের এই পরিবারের সঙ্গে তার সাক্ষাতের ভিডিওটি শেয়ার করেছেন।
রাহুল গান্ধি আরও বলেছেন, ‘ বিচার বিলম্বিত হওয়া ন্যায়বিচার অস্বীকারের সমান।’ তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০-এ, চারজন উচ্চবর্ণের লোক উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে ১৯ বছর বয়সী এক দলিত তরুণীকে নৃশংসভাবে গণধর্ষণ করেছিল। ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তে, নির্যাতিতা তরুণী নয়াদিল্লির একটি হাসপাতালে মারা যান। একই রাতে ২.৩০ মিনিটে মেয়েটির পরিবারের সম্মতি ছাড়াই, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জোর করে তার দেহ পুড়িয়ে দেয়।
কংগ্রেস নেতা দাবি করেছেন যে, প্রমাণ নষ্ট করার এবং বিচার ব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করার দীর্ঘ চার বছর পর, অভিযুক্তরা একই গ্রামে স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং নির্যাতিতার পরিবার এখনও বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে। রাহুল গান্ধির মতে, উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকার তাঁকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা আজ পর্যন্ত পূরণ হয়নি।
তাদের সরকারি চাকরি দেওয়া হয়নি বা অন্য কোথাও বাড়ি দিয়ে স্থানান্তরের প্রতিশ্রুতিও পূরণ হয়নি। তিনি বলেন, ‘জাতপাত ও ক্ষমতার এই গোলকধাঁধায় দলিতদের পক্ষে ন্যায়বিচারের আশা করাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে।’