তেহরান: ট্রাম্প ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমি থেকে সরিয়ে ‘নির্বাসনে’ পাঠাতে চান। নেতানিয়াহুদের যায়নবাদী স্বপ্ন সফল করে গড়তে চান ‘বৃহত্তর ইসরাইল’। গাজাবাসীকে ঠেলে দিতে চান মিশর সীমান্ত কিংবা জর্ডানে। এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল ইরান। ইরানের বিদেশমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাকচি জোর দিয়ে বলেছেন, আমরা এ সব মেনে নেব না। এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন যে—ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি গাজার ফিলিস্তিনিদেরকে অন্য দেশে পাঠিয়ে গাজাকে সাফ করা অর্থাৎ এ অঞ্চলকে সম্পূর্ণ খালি করে ফেলার প্রস্তাব দিয়েছেন। এটা কি ইরানের জন্য রেড লাইন নয়? যদি এমনটা ঘটে তাহলে ইরান কি ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাবে? জবাবে তিনি বলেন, ভুলে গেলে চলবে না যে শেষ পর্যন্ত ইসরাইলিরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে বাধ্য হয়েছিল যে তাদের হামাসের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তারা হামাসকে ধ্বংস করার জন্য সেখানে গিয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের বন্দিদের মুক্তির জন্য হামাসের সঙ্গে আলোচনা করতে বাধ্য হয়। তাই আমার পরামর্শ অন্য কিছু। ফিলিস্তিনিদের পরিবর্তে, তাদের উচিত ইসরাইলিদের বিতাড়িত করার চেষ্টা করা। এক ঢিলে দুই পাখি মারতে ওদের গ্রিনল্যান্ডে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত। যাতে গ্রিনল্যান্ডের সমস্যা সমাধানও হয় এবং ইসরাইলিরাও সেখানে থাকতে পারে। সবারই বেঁচে থাকার অধিকার আছে, কিন্তু অন্যের জমি দখল করার অধিকার কারোরই নেই। এটি ফিলিস্তিনিদের ভূমি এবং ফিলিস্তিনিদেরই তাদের ভূমি এবং তাদের ভাগ্য সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রসঙ্গত, ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড দখলের পরিকল্পনা করেছেন বলেছেন বলেই এই আলোচনা হচ্ছে।
এরপর সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, গত এক বছরে, আমরা হিজবুল্লাহর দুর্বলতা প্রত্যক্ষ করেছি। আমরা ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহর শাহাদাত প্রত্যক্ষ করেছি। আমরা হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও দেখেছি। আমরা আপনাদের মিত্র বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ঘটনাও দেখেছি। তাহলে এটা কি বলা যায় যে আপনাদের কৌশল আর কাজ করছে না? এর উত্তরে ইরানের বিদেশমন্ত্রী বলেন, আমাদের জানা উচিত যে প্রতিরোধ একটি চিন্তাধারা এবং একটি আদর্শ। মানুষ হত্যা করলে এই আদর্শ অদৃশ্য হয়ে যায় না। এটা ঠিক যে হামাস এবং হিজবুল্লাহ অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং এখন তারা নিজেদেরকে ফের পুনর্গঠন করছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই চিন্তাধারা এবং এই আদর্শ বিলুপ্ত হবে না। আমি আপনাকে একটি উদাহরণ দিতে চাই; ফরাসি বিপ্লবকে ইউরোপ ও আমেরিকায় অনেক চিন্তা ও আদর্শের জননী হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কিন্তু পরে কীভাবে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছিল তা লক্ষ্য করুন। নেপোলিয়নের প্রত্যাবর্তন ঘটে, একনায়কতন্ত্র ফিরে আসে কিন্তু তারপরও ফরাসি বিপ্লবের মাধ্যমে উদ্ভূত আদর্শগুলো এখনও পশ্চিমা দেশগুলোতে বিদ্যমান। বলা যায়, এই আদর্শ বিভিন্ন রূপ ধারণ করলেও মূল ধারণাটি এখনও রয়ে গেছে। ঠিক তেমনই এটি এ অঞ্চলের প্রতিরোধ শক্তিগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য এবং তাদের উত্থান-পতন স্বাভাবিক। হামাস এবং হিজবুল্লাহ স্বাধীন এবং তারা নিজেরা সিদ্ধান্ত নেয়। আমরা তাদের লক্ষ্য, উদ্দেশ্যকে সর্বদা সমর্থন করেছি এবং করব। যদি তারা ইরানের কাছে সহায়তা চায়, আমরা অবশ্যই তাদের ইতিবাচক সাড়া দেব। তিনি আরও বলেন, আমেরিকা এবং ইসরাইল পাগল হয়ে গেছে। যদি তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ করে, তবে এটি হবে এই অঞ্চলের জন্য এক ভয়াবহ বিপর্যয়।
ব্রেকিং
- জেলমুক্তির পর বিধানসভার ২ কমিটিতে জ্যোতিপ্রিয়
- ওয়াশিংটনে হেলিকপ্টার-উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, নিহত ৬০
- ৩ ইসরাইলির বদলে মুক্তি ১১০ ফিলিস্তিনিকে
- ‘কেন্দ্রের অচল স্বাস্থ্য পরিষেবার মধ্যে সেবাশ্রয় বাতিস্তম্ভ’: মাত্র ২৮ দিনে ৫ লক্ষের বেশি মানুষ উপকৃত
- ১৩ ফেব্রুয়ারি শবে বরাত
- মহাত্মা গান্ধির আদর্শ ও নীতিতে বেঁচে থাকা উচিত: রাজ্যপাল বোস
- বিধানসভা অধিবেশনের শুরুর দিনেই তৃণমূলের পরিষদীয় দলকে নিয়ে বৈঠক মমতার
- মহাকাশে আটকে পড়া নভোচারীদের ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব মাস্ককে দিলেন ট্রাম্প!
- ফিলিস্তিনিদের নয়, বরং ইসরাইলিদের উচিত গ্রিনল্যান্ডে পাঠানো, হুংকার ইরানের
- বাংলাদেশ: পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন নাহিদ-আসিফরা?
- অবৈধ অভিবাসী: কড়া হচ্ছে জার্মানি
- ক্ষতিকর রাসায়নিক মিলল কোকাকোলায়