৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্যারাসিটামল কি আপনার জন্য নিরাপদ, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি রয়েছে, জেনে নিন

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার
  • / 113

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: জ্বর বা ব্যথা হলে অনেকেই আছেন যাঁরা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া মুড়ি-মুরকির মতো ওষুধ খান। ডোলো-৬৫০ বা প্যারাসিটামল খাওয়ার প্রবণতা মানুষের মধ্যে সব থেকে বেশি রয়েছে। জ্বর, ব্যথা উপশমে প্যারাসিটামল ভীষণভাবে জনপ্রিয়। এই ওষুধ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে প্রায়শই ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয় না। চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধই খাওয়া ঠিক নয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এর জন্য অনেক সময়ই ওষুধের নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হয় রোগীদের। অতিরিক্ত পরিমাণে প্যারাসিটামল সেবন লিভারের জন্য ক্ষতিকর। সহজলভ্য মানেই সেই ওষুধ ক্ষতিকারক নয়, এটা ভেবে নেওয়া বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। বরঞ্চ ওষুধ খাওয়া নিয়ে সচেতন হওয়া জরুরি।

 আরও পড়ুন: দু’দিনের সফরে সৌদি আরব যাচ্ছেন মোদি, সৌদির প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণে সফর

প্যারাসিটামল কতটা নিরাপদ?

দ্বারকার ম্যাক্স সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিনের প্রধান পরামর্শদাতা এবং ইউনিট প্রধান ডাঃ পরিণীতা কৌর জানিয়েছেন, প্রাপ্তবয়স্করা দিনে চারটে ট্যাবলেট(প্রতিটি ৬৫০ মিলিগ্রাম)নিতে পারেন। অবশ্যই তা হবে রোগীর ওজন, লিভারের স্বাস্থ্য এবং অন্য কোনও ওষুধ খাচ্ছেন কিনা তার উপর নির্ভর করবে। অনেক ওষুধ আছে যেমন, ঠান্ডা, ফ্লু বা ব্যথার তাতে প্যারাসিটামলের উপাদান থাকে। তাই অজান্তেই অনেক সময় বেশি পরিমাণের প্যারাসিটামল সেবনের ঝুঁকি থেকে যায়।

প্যারাসিটামলের কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে?

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাওয়াই সঠিক অভ্যাস নয়। তাই জ্বর বা মাথাব্যথা হলে সঙ্গে সঙ্গে প্যারাসিটামল খেয়ে নিলাম এটা ঠিক নয়। তাই কীভাবে এই ওষুধ খাবেন তা জানা জরুরি এবং ডাক্তারের প্রেসক্রাইব করা ওষুধের উপরই জোর দেওয়া উচিত। শরীরে বিশ্রাম প্রয়োজনীয়তা, হাইড্রেট রাখা সব কিছুর উপর নির্ভর করে ওষুধ খেতে হয়। ওষুধ রোগ প্রতিরোধের প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে। তাই প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত করার জিনিস ওষুধ নয়। তাই যে কোনও ওষুধ ঘন ঘন ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। প্যারাসিটামল ওষুধকে রোজকার নিয়মে পরিণত না করে নিজের শরীরের বিষয় সচেতন হওয়া বেশি জরুরি। যাতে লিভারের যাতে কোনও সমস্যা তৈরি না হয় সেদিকে সতর্ক থাকা।    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া প্যারাসিটামল খেলে নিম্ন রক্তচাপের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই খাওয়ার আগে অবশ্যই একবার ডাক্তারকে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নিন। আপনি ডাক্তার নন, তাই নিজের জীবনের ঝুঁকি না নিয়ে চিকিৎসকের প্রেসক্রাইব করা ওষুধ খান এবং সুস্থ থাকুন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্যারাসিটামল কি আপনার জন্য নিরাপদ, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি রয়েছে, জেনে নিন

আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: জ্বর বা ব্যথা হলে অনেকেই আছেন যাঁরা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া মুড়ি-মুরকির মতো ওষুধ খান। ডোলো-৬৫০ বা প্যারাসিটামল খাওয়ার প্রবণতা মানুষের মধ্যে সব থেকে বেশি রয়েছে। জ্বর, ব্যথা উপশমে প্যারাসিটামল ভীষণভাবে জনপ্রিয়। এই ওষুধ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে প্রায়শই ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয় না। চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধই খাওয়া ঠিক নয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এর জন্য অনেক সময়ই ওষুধের নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হয় রোগীদের। অতিরিক্ত পরিমাণে প্যারাসিটামল সেবন লিভারের জন্য ক্ষতিকর। সহজলভ্য মানেই সেই ওষুধ ক্ষতিকারক নয়, এটা ভেবে নেওয়া বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। বরঞ্চ ওষুধ খাওয়া নিয়ে সচেতন হওয়া জরুরি।

 আরও পড়ুন: দু’দিনের সফরে সৌদি আরব যাচ্ছেন মোদি, সৌদির প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণে সফর

প্যারাসিটামল কতটা নিরাপদ?

দ্বারকার ম্যাক্স সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিনের প্রধান পরামর্শদাতা এবং ইউনিট প্রধান ডাঃ পরিণীতা কৌর জানিয়েছেন, প্রাপ্তবয়স্করা দিনে চারটে ট্যাবলেট(প্রতিটি ৬৫০ মিলিগ্রাম)নিতে পারেন। অবশ্যই তা হবে রোগীর ওজন, লিভারের স্বাস্থ্য এবং অন্য কোনও ওষুধ খাচ্ছেন কিনা তার উপর নির্ভর করবে। অনেক ওষুধ আছে যেমন, ঠান্ডা, ফ্লু বা ব্যথার তাতে প্যারাসিটামলের উপাদান থাকে। তাই অজান্তেই অনেক সময় বেশি পরিমাণের প্যারাসিটামল সেবনের ঝুঁকি থেকে যায়।

প্যারাসিটামলের কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে?

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাওয়াই সঠিক অভ্যাস নয়। তাই জ্বর বা মাথাব্যথা হলে সঙ্গে সঙ্গে প্যারাসিটামল খেয়ে নিলাম এটা ঠিক নয়। তাই কীভাবে এই ওষুধ খাবেন তা জানা জরুরি এবং ডাক্তারের প্রেসক্রাইব করা ওষুধের উপরই জোর দেওয়া উচিত। শরীরে বিশ্রাম প্রয়োজনীয়তা, হাইড্রেট রাখা সব কিছুর উপর নির্ভর করে ওষুধ খেতে হয়। ওষুধ রোগ প্রতিরোধের প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে। তাই প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত করার জিনিস ওষুধ নয়। তাই যে কোনও ওষুধ ঘন ঘন ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। প্যারাসিটামল ওষুধকে রোজকার নিয়মে পরিণত না করে নিজের শরীরের বিষয় সচেতন হওয়া বেশি জরুরি। যাতে লিভারের যাতে কোনও সমস্যা তৈরি না হয় সেদিকে সতর্ক থাকা।    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া প্যারাসিটামল খেলে নিম্ন রক্তচাপের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই খাওয়ার আগে অবশ্যই একবার ডাক্তারকে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নিন। আপনি ডাক্তার নন, তাই নিজের জীবনের ঝুঁকি না নিয়ে চিকিৎসকের প্রেসক্রাইব করা ওষুধ খান এবং সুস্থ থাকুন।