৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আইএস আমেরিকার একটি প্রক্সি বাহিনী, আফগানিস্তানের গৃহযুদ্ধ বাধাতে চায় তারা, বলছে ইরান

পুবের কলম
  • আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২১, বুধবার
  • / 9

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : আফগান ইস্যুতে ইরানের রাজধানী তেহরানে শুরু হয়েছে বৈঠক। শুরু করেছেন কাবুলের প্রতিবেশী দেশগুলোর বিদেশমন্ত্রীর। একদিনের সম্মেলনে তালিবান শাসিত আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা কহয় সেখানে।ইরান, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর বুধবার তেহরানে একত্রিত হন। এসময় রাশিয়া ও চীনের বিদেশমন্ত্রীরাও যুক্ত হন ভার্চুয়ালি।

প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির পরিবর্তে এদিন বৈঠকের উদ্বোধন করেন ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মোখবার।  জরুরি কাজে ব্যস্ত রয়েছেন রাইসি। ইরানে মঙ্গলবার তেল এবং গ্যাস স্টেশনগুলো লক্ষ্য করে সাইবার হামলার পর তেহরানে এ সম্মেলন শুরু হল।

ভাইস প্রেসিডেন্ট মোখবার সম্মেলনে বলেন, আফগানিস্তানে আমেরিকান নীতির পরাজয়ের অর্থ এই নয় যে যুক্তরাষ্ট্র পুরো অঞ্চলজুড়ে তার ধ্বংসাত্মক নীতি পরিত্যাগ করছে।তিনি বলেন, এ অঞ্চলে আইএস হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রক্সি বাহিনী। যারা আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ধ্বংস করে গৃহযুদ্ধ সৃষ্টি করতে চায়।

সব দেশের বিদেশমন্ত্রীর এ সম্মেলনকে স্বাগত জানান এবং আফগানিস্তানের গৃহযুদ্ধ অথবা পতন ঠেকাতে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেশী দেশগুলোর সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন।

আফগানিস্তানের অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করার জন্য চিন-ইরানের বিদেশমন্ত্রীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে কাবুলের  ওপর থেকে এক তরফা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ইরান সবসময়ই আফগানিস্তানে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের পক্ষে। যেখানে সব দলের অংশগ্রহণ থাকবে।

 এখনও আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে সমর্থন করেনি ভারত। তবে মানবিক কারণ দেখিয়ে আফগানিস্তানে খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধ পাঠানো হয়েছে।আফগানিস্তানে ভারত বিপুল অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছে। সেখানকার উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় ভারত সরকারের ভূমিকা অস্বীকারের উপায় নেই। 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আইএস আমেরিকার একটি প্রক্সি বাহিনী, আফগানিস্তানের গৃহযুদ্ধ বাধাতে চায় তারা, বলছে ইরান

আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২১, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : আফগান ইস্যুতে ইরানের রাজধানী তেহরানে শুরু হয়েছে বৈঠক। শুরু করেছেন কাবুলের প্রতিবেশী দেশগুলোর বিদেশমন্ত্রীর। একদিনের সম্মেলনে তালিবান শাসিত আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা কহয় সেখানে।ইরান, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর বুধবার তেহরানে একত্রিত হন। এসময় রাশিয়া ও চীনের বিদেশমন্ত্রীরাও যুক্ত হন ভার্চুয়ালি।

প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির পরিবর্তে এদিন বৈঠকের উদ্বোধন করেন ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মোখবার।  জরুরি কাজে ব্যস্ত রয়েছেন রাইসি। ইরানে মঙ্গলবার তেল এবং গ্যাস স্টেশনগুলো লক্ষ্য করে সাইবার হামলার পর তেহরানে এ সম্মেলন শুরু হল।

ভাইস প্রেসিডেন্ট মোখবার সম্মেলনে বলেন, আফগানিস্তানে আমেরিকান নীতির পরাজয়ের অর্থ এই নয় যে যুক্তরাষ্ট্র পুরো অঞ্চলজুড়ে তার ধ্বংসাত্মক নীতি পরিত্যাগ করছে।তিনি বলেন, এ অঞ্চলে আইএস হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রক্সি বাহিনী। যারা আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ধ্বংস করে গৃহযুদ্ধ সৃষ্টি করতে চায়।

সব দেশের বিদেশমন্ত্রীর এ সম্মেলনকে স্বাগত জানান এবং আফগানিস্তানের গৃহযুদ্ধ অথবা পতন ঠেকাতে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেশী দেশগুলোর সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন।

আফগানিস্তানের অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করার জন্য চিন-ইরানের বিদেশমন্ত্রীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে কাবুলের  ওপর থেকে এক তরফা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ইরান সবসময়ই আফগানিস্তানে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের পক্ষে। যেখানে সব দলের অংশগ্রহণ থাকবে।

 এখনও আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে সমর্থন করেনি ভারত। তবে মানবিক কারণ দেখিয়ে আফগানিস্তানে খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধ পাঠানো হয়েছে।আফগানিস্তানে ভারত বিপুল অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছে। সেখানকার উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় ভারত সরকারের ভূমিকা অস্বীকারের উপায় নেই।