পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। নানা ধরনের জঙ্গি ও নাশনকামূলক কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে। এই সংগঠনটি দেশের যাতে আর কোনও ধরনের কার্যকলাপ চালাতে না পারে তার জন্য তাদের কর্মকাণ্ডের গতিবিধির উপর নজর রেখেছে গোয়েন্দাবাহিনী। নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে সংগঠনটিকে সভা-সমাবেশ করায় নিষেধাজ্ঞা জারি আছে।
এমনকি গোপন কোনও স্থানে একাধিক সদস্য মিলিত হলেও তাদের গ্রেফতার করতে হবে। এমনকি সভা-সমাবেশ করলে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রোদ্রোহ আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দেওয়া হবে। এই দুটি আইনেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। পুলিশ ও আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে এই সমস্ত তথ্য সামনে এসেছে।
গত ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবি ওঠে। গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশ থেকে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়।পরদিন বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নিষিদ্ধ করা হয় ছাত্রলীগকে।
ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মুহম্মদ তালেবুর রহমান কালের জানিয়েছেন ‘নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ঘোষিত ছাত্রলীগকে কোনও সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। নিষেধ অমান্য করলে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
Read more: ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের
কিছু জঙ্গি মূলক ঘটনায় সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের অপরাধ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। তার ভিত্তিতেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ, সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯ এর ধারা ১৮ এর উপধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। এ আইনের তফসিল-২-এ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নামের ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হল।