গাজায় নির্বিচারে গণহত্যা, ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে কালো তালিকাভুক্ত করল রাষ্ট্রসংঘ

- আপডেট : ৮ জুন ২০২৪, শনিবার
- / 16
ওয়াশিংটন, ৮ জুন: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় টানা আট মাস ধরে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। গত ৭ অক্টোবর থেকে হামাস গোষ্ঠীকে নির্মূলের নামে গাজা উপত্যকায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৬ হাজার ৫৮৬ জন ফিলিস্তিনি। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী-শিশু। আর আহত হয়েছে ৮৩ হাজার ৭৪ জন ফিলিস্তিনি। এভাবে হামলা চলতে থাকলে আগামী জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে গাজায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ অনাহারে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে রাষ্ট্রসংঘ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (FAO) যৌথ এক বিবৃতিতে বলেছে, জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে গাজাবাসী ভয়াবহ অনাহারের মুখে পড়তে পারে। গাজায় সর্বোচ্চ অনাহারের জন্য মূলত ইসরাইলের ব্যাপক হামলার মধ্যে উপত্যকাটিতে ত্রাণ প্রবেশের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করা হচ্ছে। এবার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল ইউএন। ফিলিস্তিনের গাজায় শিশুদের ওপর হামলার ফলে ইসরাইলের সেনাবাহিনীকে কালো তালিকাভুক্ত করল রাষ্ট্রসংঘ।
এদিকে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ আরদান সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, ‘এটি একটি লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত। আমাদের সেনাবাহিনী হল বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিকতাসম্পন্ন বাহিনী। ইউএন-এর মহাসচিব এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করছেন। তিনি ইসরাইলের প্রতি ঘৃণায় পরিচালিত।’ প্রসঙ্গত, এই কালো তালিকায় রাশিয়া, গণপ্রজাতান্ত্রিক কঙ্গো, সিরিয়া ও সোমালিয়ার সেনাবাহিনীর নামও রয়েছে। এছাড়া ইসলামিক স্টেট (আইএস), আল–শাবাব, তালেবান, আল–কায়দার মতো সংগঠনও কালো তালিকায় রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত আট মাস ধরে গাজায় অনবরত যুদ্ধ চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এতে গাজায় বাড়ছে মৃত্যুহার যার ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে স্থানীয় এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর। গাজায় এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে এখানকার স্থানীয়রা দুর্ভিক্ষের কবলে পড়তে পারে। এর আগে ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন জানিয়েছিল, অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলের ব্যাপক হামলা এবং ত্রাণ প্রবেশের নিষেধাজ্ঞার জন্য উপত্যকাটিতে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকেই ৬ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ অনাহারে ভুগছে।