পারমাণবিক আলোচনার মধ্যে তেল উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধি দেখছে ইরান

- আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২২, শুক্রবার
- / 16
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইরান তার গ্যাসের উৎপাদন যেমন বাড়িয়েছে তেমনি বাড়িয়েছে রফতানি। ২০২১ সাল পর্যন্ত তেল ও গ্যাসের ক্ষেত্রে ইরান এতটা উন্নয়ন করতে পারেনি। গোটাটাই ঘটেছে পারমাণবিক চুক্তিকে সামনে রেখে। পারমানবিক চুক্তির ক্ষেত্রে যে প্রতিশ্রুতি তারা পেয়েছে তাতেই এই উন্নয়ন। ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধজ্ঞা আজও তেমনটাই রয়েছে। কেবল পারমানবিক আলোচনা নিয়ে কিছু আশাব্যাঞ্জক কথা হয়েছে মাত্র। ভিয়েনার সঙ্গে নতুন করে পারমানবিক চুক্তির বিষয়ে আশাব্যাঞ্জক কথা হয়েছে। আর তাতেই ইরান তার তেল ও গ্যাস নিয়ে অনেকটাই আশাবাদী। এমনটাই বলেছেন চিনা সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া।
ইরানের তেল রপ্তানি মারাত্মকভাবে কমে গিয়েছিল। ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে তীব্রভাবে তেল রফতানি হ্রাস পেয়েছিল। ২০১৫ সালে জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন স্বাক্ষরের পর ২০১৬ সালে তেল রফতানিতে, উর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হয় । ২০১৭ ইরানের তেল রফতানি বাড়ে। এই সময় গড়ে প্রতিদিন ২.৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল রফতানি করেছিল ইরান । ২০১৬ এর তুলনায় তা বেড়েছে ২০০,০০০ ব্যারেল।
ইরানের তেজারাত নিউজ ওয়েবসাইট জানাচ্ছে, ২০১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল হওয়ার আগে পর্যন্ত ইরান প্রতিদিন ৪.৭ মিলিয়ন ব্যারেল তেল এবং গ্যাস -উৎপাদন করেছিল। যার মধ্যে ৩.৮ মিলিয়ন ছিল অপরিশোধিত তেল। ২০১৮ সালে তদানীন্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন প্রত্যাহার করে নেন। ইরানের জ্বালানি খাতের উপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। যার ফলে ইরানের অপরিশোধিত উৎপাদন বাজারে উল্লেখযোগ্য মন্দা দেখা দেয়। ইরান এবং বিশ্বশক্তি ২০২১ সালে ফের আলোচনা শুরু করে। যার লক্ষ্য জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন। নিম্নগামী প্রবণতা থেকে ইরান পুনরুজ্জীবিত হয় । দেশের জ্বালানি খাতে আশা দেখতে শুরু করে ইরান। ইরানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী জাভেদ ওজি এপ্রিলের শুরুতে রাষ্ট্রীয় টিভিতে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। তাতে তিনি বলেছিলেন, ইরানের তেল বিক্রয় শূন্যে নামিয়ে আনতে চেয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হাজার চেষ্টা করেও তারা তাতে সফল হয়নি।