পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ভবানীপুরের উপ নির্বাচনের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন বকেয়া পুরভোটগুলি করার উদ্যেগ নেওয়া হবে। সেই মতো কিছুদিন আগে থেকেই রাজ্য প্রস্তুতি শুরু করেছে। কলকাতা ও হাওড়া পরনিগমের ভোট করতে চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে কমিশন। রাজ্যের প্রস্তাবিত দিন অর্থাৎ ১৯ ডিসেম্বরেই হবে কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোট। সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রস্তাবে কোনও আপত্তি জানায়নি কমিশন। তবে হাওড়া কর্পোরেশনের সব ওয়ার্ডে ভোট হবে না। ৬৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫০টিতে পুরভোট হবে। কলকাতা কর্পোরেশনের সমস্ত ওয়ার্ডেই অবশ্য পুরভোট হবে।
নির্বাচনীবিধি মোতাবেক,ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির ২৭-৪২ দিনের মধ্যে ভোট করতে হয়। তাই দ্রুত পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। কমিশন সূত্রে খবর, ২৫ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে কমিশন।যদিও কমিশন ও রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, “রাজ্যের একাধিক পুরসভায় ভোট বকেয়া রয়েছে। এভাবে দু’টি পুরসভায় ভোট করানো যায় না। আমরা রাজ্য ও কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছি। প্রয়োজনে আদালতে যাব আমরা।”
রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, গুন্ডা বাহিনীকে কাজে লাগানোর জন্য ধাপে ধাপে পুরভোট করাচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যেই আইনজীবীদের পরামর্শ নিতে শুরু করেছেন বিজেপি নেতারা।
২৫ নভেম্বর কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারির পরেই প্রার্থীদের মনোনয়ন জমার কাজ শুরু হয়ে যাবে।এমনটাই কমিশন সূত্রে খবর। দুই পুরসভাতেই মনোনয়ন জমার শেষ দিন ২ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র স্ক্রুটিনি হবে আগামী ৩ ডিসেম্বর। প্রত্যাহারের শেষদিন ৪ ডিসেম্বর, শনিবার। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এক শীর্ষকর্তা এদিন জানিয়েছেন, ২১ নভেম্বর ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে গঙ্গার দু’দিকের শহরেই ও সরকারি প্রশাসনে নির্বাচনী বিধিনিষেধ কঠোরভাবে কার্যকর হয়ে যাবে।