পুবের কলম প্রতিবেদকঃ বকেয়া টাকা না মেটালে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। রবিবার এ কথা জানিয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠন। ইতিমধ্যে কুড়িটি হাসপাতালের তরফে পাঠানো এক চিঠিতে স্বাস্থ্য ভবনকে জানিয়েছে, বকেয়া অর্থ মেটাতে হবে। তা না হলে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি প্যাকেজের রেট বাড়ানোর আর্জিও জানানো হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনের তরফে দাবি, তাদের বকেয়ার পরিমাণ অন্তত দুশো কোটি টাকা। এই পরিস্থিতিতে টাকা না মেটালে তাদের পক্ষে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনগুলির বক্তব্য, এর আগেও তারা বকেয়া মেটানোর বিষয়ে স্বাস্থ্যদফতরে জানিয়েছিল। সেখান থেকে বলা হয়েছিল, ২০ দিনের মধ্যে এই টাকা তারা পেয়ে যাবে। কিন্তু সেই সময়ের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও বকেয়া টাকা পায়নি বলেই বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনগুলির দাবি।
ফলে বকেয়া না মেটালে এবং প্যাকেজের দর না বাড়লে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে আর পরিষেবা দিতে পারবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি।
যদিও এ বিষয়ে স্বাস্থ্যভবনের তরফে সরকারিভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য দফতর এক মাসের মধ্যেই টাকা মিটিয়ে দিচ্ছে। যাদের বাকী রয়েছে, লিখিত অভিযোগ জমা পড়লে তাও মিটিয়ে দেওয়া হবে। তাছাড়া বেসরকারি হাসপাতালগুলির বড় অঙ্ক বকেয়া এমনও নয়। মার্চের ১৭ তারিখের মধ্যে তাদের টাকা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বেসরকারি হাসপাতালগুলির মধ্যেও অভিযোগ রয়েছে, স্বাস্থ্য স্বাস্থী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবা মিলবে বলে জানানো হচ্ছে রোগী- পরিবারদের। রোগীকে অপারেশনের জন্য ভর্তি করছে বেসরকারি নার্সিংহোমগুলি। এর পর রোগীর অপারেশনের পর বেশ কিছুদিন রা’া হচ্ছে। রোগী পরিবার নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষদের জিজ্ঞেস করলে তাদের জবাব, স্বাস্থ্য দফতরে পেপার্সপত্র পাঠিয়েছি, আর্থিক সমস্যা মিটে গেলে রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এদিকে বহু বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, চিকিৎসা পরিষেবার জন্য সুযোগ মিলবে। কিছু বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বিল স্বাস্থ্য দফতরে পাঠানোর অভিযোগ উঠছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বহু হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।