পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বালি পুরসভা বিলে সই করা নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। শুক্রবারই জানা গিয়েছিল বালি পুরসভাকে আলাদা করার বিলে সই করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। কিন্তু শনিবার সকালে এই খবর অন্য দিকে মোড় নিল। ট্যুইট করে রাজ্যপাল জানিয়ে দিলেন, তিনি এরকম কোনও বিলে সই-ই করেননি। এদিকে গতকালই হাইকোর্টে অ্যাডভোকেট জেনারেল দাবি করেন, এই বিলে সই করে দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট জেনারেল।
Media reports that Governor Shri Jagdeep Dhankhar has given his assent for excluding areas of Bally Municipality (BM) from Howrah Municipal Corporation (HMC) are incorrect. No matter seeking exclusion areas of BM from HMC has ever been put @MamataOfficial for his consideration.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 25, 2021
অন্যদিকে এই নিয়ে বিষয়ে সরব হয়েছে বিজেপিও। ট্যুইট করে বিজেপির মুখপাত্র অমিত মালব্য জানিয়েছেন, আদালতকেও বিভ্রান্ত করছে রাজ্য।
ট্যুইট করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় জানান, ‘বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম মারফৎ আমি জানতে পারছি হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২১-এ নাকি আমি সই করেছি। এ খবর একেবারেই ঠিক নয়।’ একই সঙ্গে রাজ্যপাল আরও ব্যাখ্যা তলব করেছেন হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২১ নিয়ে।
এদিকে গতকাল হাইকোর্টে অ্যাডভোকেট জেনারেলের বক্তব্যের পরেই মনে করা হয় ভোট নিয়ে সমস্যা মিটল।
রাজ্যপালের মন্তব্য, তিনি কোনও বিলে সই করেননি। অথচ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল তাহলে কোন তথ্যের ভিত্তিতে আদালতে এই দাবি করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে!
উল্লেখ্য, হাওড়া পুরনিগম থেকে ও বালিকে পৃথক করে পৃথক পুরসভা করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য মন্ত্রিসভা৷ ২০১১ সালের আগেও বালি ও হাওড়া দুটি পৃথক ছিল৷ তৃণমূল ক্ষমতার আসার পর হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় বালি পুরসভাকে৷ এবং ২০১৫-র জুলাই মাসে বালি পুরসভা অস্তিত্ব খুইয়ে তা হাওড়া পুরনিগমের আওতায় চলে আসে৷ ২০২১-এ ফের আলাদা করে দেওয়া হল হাওড়া ও বালিকে৷ কিন্তু পুরভোটের আগে এই পৃথকীকরণ নিয়ে গোল বাধে৷ হাওড়া পুরনিগম (সংশোধনী) বিল ২০২১-এ সই না করে ঝুলিয়ে রাখেন রাজ্যপাল। এখনও সেই বিতর্ক অব্যাহত থাকল।