ভূবনেশ্বর, ১৯ অক্টোবর: বহু আগে একসময় সমাজে নরবলির প্রচলন ছিল। পৃথিবীর প্রধান ধর্মসমূহে নরহত্যা তথা নরবলির বিধান নেই, নরহত্যা নিষিদ্ধ। কিন্তু তারপরেও একশ্রণির মানুষ কুসংস্কারে আবদ্ধ হয়ে সেই প্রাচীন প্রথা চালিয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার ওড়িশার বালাঙ্গী জেলার ঝাললিটি গ্রামে এক ১৩ বছরের বালকের দেহ উদ্ধার হয়েছে
জঙ্গলটি ওড়িশার বালাঙ্গি জেলার লাঠোর পুলিশ সীমানার ঢালিয়ালটি গ্রামের কাছে। পরিবারের অভিযোগ ধর্মীয় কারণে কেউ বা কারা তাদের সন্তানকে বলি দিয়েছে। ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার থেকে বালকটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর মৃত বালকের পরিবারের তরফে তাদের আত্মীয়দের নিখোঁজের খবরটি জানানো হয়। খোঁজ না মেলায় তারা স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
শুক্রবার সকালে জঙ্গল থেকে বালকের দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন কেউ দেহটি দাফন করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু জঙ্গলে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। মৃত বালকের বাবার অভিযোগ, পূর্ণিমা রাতে বলিদানের মতো ঘটনা ঘটে থাকে। আমার বিশ্বাস ধর্মীয় কারণে আমার ছেলেকে বলি দেওয়া হয়েছে। এদিন দোষীর গ্রেফতারের দাবিতে নুয়াপাড়া সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা।
পাটনাগড়ের এসডিপিও সদানন্দ পূজারী জানিয়েছেন, গ্রাম থেকে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এই হত্যার সঙ্গে পারিবারিক শত্রুতার যোগসূত্র থাকতে পারে। দেশের বহু জায়গায় নরবলিদান প্রথা এখনও চালু আছে, এই হত্যা সেই কারণে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও জাদুবিদ্যা, কালো যাদু এই কুসংস্কারগুলি আইনত নিষিদ্ধ তাও প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে এই ধরনের প্রথা রয়েছে।
Read more: Breaking: অনশন আন্দোলন থেকে চিকিৎসকদের সরে আসার আবেদন, ফোনে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
উল্লেখ্য, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে ডিএল পাবলিক স্কুলের এক ১১ বছরের ছাত্র নৃশংস প্রথার শিকার হয়। বলি দেওয়া হয় তাকে। পুলিশ স্কুলের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) তথ্য অনুযায়ী ২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দেশে ধর্মীয় কারণে মোট ১০৩টি হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
1 Comment
Pingback: হামাসকে ‘সন্ত্রাসী’ বলায় সউদির টিভি অফিসে হামলা