২৭ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হিন্দু-মুসলিম বিয়েতে নিরাপত্তা নিয়ে বড় পদক্ষেপ হাইকোর্টের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার
  • / 132

জবলপুর,২৩,অক্টোবর:  হিন্দু মুসলিম বিয়ের নিরাপত্তা নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিল হাইকোর্ট।

 

মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট জবলপুরের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে যে, যেসব হিন্দু-মুসলিম যুগলরা বিয়ে করতে চায় তাদের নিরাপত্তা দিতে। এর আগে সোমবার তেলেঙ্গানার বিজেপি বিধায়ক টি রাজা মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবকে জবলপুরে একজন মুসলিম পুরুষ ও হিন্দু মহিলার বিয়ে বন্ধ করতে বলেছিলেন।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়ো বার্তায় রাজাকে বলতে শোনা গেছে যে যাদব এবং মধ্যপ্রদেশ পুলিশকে নিশ্চিত করতে হবে যে “লাভ জিহাদ” বিয়ে যেন না হয়। জানা যায়, এক হিন্দু মহিলা ও মুসলিম পুরুষের আবেদনের ওপর ভিত্তি করে এই শুনানি দেয় হাইকোর্ট। হিন্দু-মুসলিম যুগলের দায়ের করা আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি বিশাল ধাগাত বলেন যে ‘আবেদনকারীদের আদালতে ডাকা হয়েছিল এবং তাদের আত্মীয়রা আদালতের কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার কারণে তাদের আদালত কক্ষে বক্তব্য রেকর্ড করা হয়।’

 

আদালত আরও বলেছে যে,উভয় আবেদনকারী বলেছেন, তারা গত এক বছর ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন এবং বর্তমানে বিয়ে করতে চান। তাদের পুলিশ সুরক্ষা দেওয়া উচিত। অন্যথায় আবেদনকারী মহিলাকে তার পরিবারের সদস্যরা অপহরণ করতে পারে। তার প্রাণসংশয় হতে পারে বলে আদালতের আদেশে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ওয়েনাড় উপনির্বাচন: মনোনয়ন জমা দিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি

যেহেতু পিটিশনকারীদের উপর হামলার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই পুলিশ সুপারকে তাদের সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

এছাড়াও পুলিশের একটি দল মহিলাকে নিয়ে সেখানে যাবেন, যেখানে এতদিন থাকছিলেন তারা। সেখানে জিনিসপত্র সংগ্রহ করার পর, তাকে একটি নিরাপদ জায়গা দেওয়া হবে।

 

আদালত বলেছে যে ওই আবেদনকারী মহিলা ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সেখানে থাকবেন। আদালতের আদেশে আরও বলা হয়েছে ১২ নভেম্বর বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে বিবাহের জন্য বিবাহ নিবন্ধকের কাছে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করা হবে।

 

অন্যদিকে আদালত তার মুসলিম প্রেমিককেও নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে জানায় এবং তার নিরাপত্তার জন্য পুলিশ তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাবে।

 

যখন পরিস্থিতি অনুকূল হবে, তখন তাকে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে । আদেশে বলা হয়েছে, “যদি কোনো ব্যক্তি জোরপূর্বক আবেদনকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং বল প্রয়োগের অপরাধ করে তাহলে পুলিশ সুপারের সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করার এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা থাকবে।

 

সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

সোমবার, হিন্দু সেবা পরিষদের প্রধান অতুল জেসওয়ানি বলেছিলেন যে বিজেপি বিধায়ক টি রাজা তাকে একটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছিলেন, যার পরে তিনি জবলপুরের কালেক্টর পুষ্পেন্দ্র আহকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং তাকে বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে দম্পতির আবেদন বাতিল করার অনুরোধ করেছিলেন।

Tag :

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হিন্দু-মুসলিম বিয়েতে নিরাপত্তা নিয়ে বড় পদক্ষেপ হাইকোর্টের

আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার

জবলপুর,২৩,অক্টোবর:  হিন্দু মুসলিম বিয়ের নিরাপত্তা নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিল হাইকোর্ট।

 

মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট জবলপুরের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে যে, যেসব হিন্দু-মুসলিম যুগলরা বিয়ে করতে চায় তাদের নিরাপত্তা দিতে। এর আগে সোমবার তেলেঙ্গানার বিজেপি বিধায়ক টি রাজা মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবকে জবলপুরে একজন মুসলিম পুরুষ ও হিন্দু মহিলার বিয়ে বন্ধ করতে বলেছিলেন।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়ো বার্তায় রাজাকে বলতে শোনা গেছে যে যাদব এবং মধ্যপ্রদেশ পুলিশকে নিশ্চিত করতে হবে যে “লাভ জিহাদ” বিয়ে যেন না হয়। জানা যায়, এক হিন্দু মহিলা ও মুসলিম পুরুষের আবেদনের ওপর ভিত্তি করে এই শুনানি দেয় হাইকোর্ট। হিন্দু-মুসলিম যুগলের দায়ের করা আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি বিশাল ধাগাত বলেন যে ‘আবেদনকারীদের আদালতে ডাকা হয়েছিল এবং তাদের আত্মীয়রা আদালতের কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার কারণে তাদের আদালত কক্ষে বক্তব্য রেকর্ড করা হয়।’

 

আদালত আরও বলেছে যে,উভয় আবেদনকারী বলেছেন, তারা গত এক বছর ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন এবং বর্তমানে বিয়ে করতে চান। তাদের পুলিশ সুরক্ষা দেওয়া উচিত। অন্যথায় আবেদনকারী মহিলাকে তার পরিবারের সদস্যরা অপহরণ করতে পারে। তার প্রাণসংশয় হতে পারে বলে আদালতের আদেশে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ওয়েনাড় উপনির্বাচন: মনোনয়ন জমা দিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি

যেহেতু পিটিশনকারীদের উপর হামলার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই পুলিশ সুপারকে তাদের সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

এছাড়াও পুলিশের একটি দল মহিলাকে নিয়ে সেখানে যাবেন, যেখানে এতদিন থাকছিলেন তারা। সেখানে জিনিসপত্র সংগ্রহ করার পর, তাকে একটি নিরাপদ জায়গা দেওয়া হবে।

 

আদালত বলেছে যে ওই আবেদনকারী মহিলা ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সেখানে থাকবেন। আদালতের আদেশে আরও বলা হয়েছে ১২ নভেম্বর বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে বিবাহের জন্য বিবাহ নিবন্ধকের কাছে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করা হবে।

 

অন্যদিকে আদালত তার মুসলিম প্রেমিককেও নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে জানায় এবং তার নিরাপত্তার জন্য পুলিশ তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাবে।

 

যখন পরিস্থিতি অনুকূল হবে, তখন তাকে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে । আদেশে বলা হয়েছে, “যদি কোনো ব্যক্তি জোরপূর্বক আবেদনকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং বল প্রয়োগের অপরাধ করে তাহলে পুলিশ সুপারের সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করার এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা থাকবে।

 

সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

সোমবার, হিন্দু সেবা পরিষদের প্রধান অতুল জেসওয়ানি বলেছিলেন যে বিজেপি বিধায়ক টি রাজা তাকে একটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছিলেন, যার পরে তিনি জবলপুরের কালেক্টর পুষ্পেন্দ্র আহকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং তাকে বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে দম্পতির আবেদন বাতিল করার অনুরোধ করেছিলেন।