০৪ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বোলপুরে বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার
  • / 183

বোলপুর, ১ নভেম্বর : বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ সেল থেকে। শয্যার চাদর ছিঁড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় বিচারাধীন বন্দি দেবনাথ বাগদি৷ ২৪ অক্টোবর চুরির অপরাধে তাকে গ্রেফতার করেছিল বোলপুর থানার পুলিশ।

বোলপুরের নায়েকপাড়ার বাসিন্দা দেবনাথ বাগদি৷ ২৪ অক্টোবর এলাকায় চুরির অপরাধের তাকে গ্রেফতার করে বোলপুর থানার পুলিশ। ওই দিনই ধৃতকে বোলপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। সেই মত বোলপুরের সিয়ান সংশোধনাগারে ছিল দেবনাথ৷

জেল, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্দি থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে পরে সে৷ তাকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ সেলের শয্যায় রেখে চিকিৎসা করানো হচ্ছিল৷ এদিন, হাসপাতালের পুলিশ সেলে শয্যার চাদর ছিঁড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন বিচারাধীন বন্দি। পরিবারের অভিযোগ, এই বিষয়ে পুলিশের তরফ থেকে কোন রকম সংবাদ দেওয়া হয়নি৷ বহুক্ষণ পর হাসপাতাল সূত্রে পরিজন মৃত্যুর খবর পান৷

এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহ শান্তিনিকেতন থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ সেলে বিচারাধীন বন্দির উপর কেন নজরদারি ছিল না? বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ সেল শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত। থানায় থানায় চলছে কালী পুজো, পুজোর মরশুমে পুলিশি নজরদারির অভাবে মৃত্যু হল বিচারাধীন বন্দির বলেই অভিযোগ।

যদিও, এই মর্মে বীরভূম জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা কোন মন্তব্য করতে নারাজ৷ মৃত বিচারাধীন বন্দির মা পল্লবী বাগদি বলেন, “কোন রকম খবর দেয়নি পুলিশ৷ কাউন্সিলের কাছে জানতে পারি আমার ছেলে মারা গিয়েছে।

Tag :

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বোলপুরে বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

আপডেট : ২ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার

বোলপুর, ১ নভেম্বর : বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ সেল থেকে। শয্যার চাদর ছিঁড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় বিচারাধীন বন্দি দেবনাথ বাগদি৷ ২৪ অক্টোবর চুরির অপরাধে তাকে গ্রেফতার করেছিল বোলপুর থানার পুলিশ।

বোলপুরের নায়েকপাড়ার বাসিন্দা দেবনাথ বাগদি৷ ২৪ অক্টোবর এলাকায় চুরির অপরাধের তাকে গ্রেফতার করে বোলপুর থানার পুলিশ। ওই দিনই ধৃতকে বোলপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। সেই মত বোলপুরের সিয়ান সংশোধনাগারে ছিল দেবনাথ৷

জেল, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্দি থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে পরে সে৷ তাকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ সেলের শয্যায় রেখে চিকিৎসা করানো হচ্ছিল৷ এদিন, হাসপাতালের পুলিশ সেলে শয্যার চাদর ছিঁড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন বিচারাধীন বন্দি। পরিবারের অভিযোগ, এই বিষয়ে পুলিশের তরফ থেকে কোন রকম সংবাদ দেওয়া হয়নি৷ বহুক্ষণ পর হাসপাতাল সূত্রে পরিজন মৃত্যুর খবর পান৷

এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহ শান্তিনিকেতন থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ সেলে বিচারাধীন বন্দির উপর কেন নজরদারি ছিল না? বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ সেল শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত। থানায় থানায় চলছে কালী পুজো, পুজোর মরশুমে পুলিশি নজরদারির অভাবে মৃত্যু হল বিচারাধীন বন্দির বলেই অভিযোগ।

যদিও, এই মর্মে বীরভূম জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা কোন মন্তব্য করতে নারাজ৷ মৃত বিচারাধীন বন্দির মা পল্লবী বাগদি বলেন, “কোন রকম খবর দেয়নি পুলিশ৷ কাউন্সিলের কাছে জানতে পারি আমার ছেলে মারা গিয়েছে।