০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন হামজা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, শুক্রবার
  • / 5

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার লড়াইয়ে নামলেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী হামজা ইউসুফ। সোমবার থেকেই তিনি তার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা হামজা বিজয়ী হতে পারলে সদ্য পদত্যাগ করা নিকোলা স্টার্জনের স্থলাভিষিক্ত হবেন। নিকোলা স্টার্জনের পদত্যাগের ঘোষণার পরই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানান হামজা ইউসুফ। গত সোমবার গ্লাসগো থেকে প্রায় ৮ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত ক্লাইডব্যাঙ্ক শহর থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন তিনি।

৩৭ বছর বয়সী স্বাস্থ্যমন্ত্রী হামজা ইউসুফ বলেন, ‘আমার দাদু স্বপ্নেও কল্পনা করেননি যে, কোনও এক সময় তার নাতি স্কটল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য নির্বাচনে লড়বে। তবে আমি বিশ্বাস করি, সব ধরনের বিভক্তি দূর করার প্রয়োজনীয় দক্ষতা আমার রয়েছে। এ সময় তিনি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী স্টার্জনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার সামাজিক প্রগতিশীল নীতিকে সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার করেন।’

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসুফের পরিবার ১৯৬২ সালে সপরিবারে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে পাড়ি জমায়। ২০২১ সাল থেকে স্বাস্থ্য ও সমাজসেবা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা হামজা হলেন স্কটিশ সরকারের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ মন্ত্রী। এর আগে ২০১৬ সালে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) সদস্য হিসেবে গ্লাসগো পোলোক থেকে স্কটিশ সংসদের সদস্য ছিলেন তিনি।

এ নির্বাচনে হামজা ইউসুফের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন কনজারভেটিভ অর্থমন্ত্রী কেট ফোর্বস। আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে দেশটিতে নতুন নেতা নির্বাচন করা হবে। উল্লেখ্য, স্কটল্যান্ডে প্রায় ৭৫ হাজার মুসলিমের বসবাস। তাদের ৪০ শতাংশই থাকেন গ্লাসগো শহরে। দেশটিতে মুসলিমরা দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জনগোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন হামজা

আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার লড়াইয়ে নামলেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী হামজা ইউসুফ। সোমবার থেকেই তিনি তার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা হামজা বিজয়ী হতে পারলে সদ্য পদত্যাগ করা নিকোলা স্টার্জনের স্থলাভিষিক্ত হবেন। নিকোলা স্টার্জনের পদত্যাগের ঘোষণার পরই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানান হামজা ইউসুফ। গত সোমবার গ্লাসগো থেকে প্রায় ৮ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত ক্লাইডব্যাঙ্ক শহর থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন তিনি।

৩৭ বছর বয়সী স্বাস্থ্যমন্ত্রী হামজা ইউসুফ বলেন, ‘আমার দাদু স্বপ্নেও কল্পনা করেননি যে, কোনও এক সময় তার নাতি স্কটল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য নির্বাচনে লড়বে। তবে আমি বিশ্বাস করি, সব ধরনের বিভক্তি দূর করার প্রয়োজনীয় দক্ষতা আমার রয়েছে। এ সময় তিনি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী স্টার্জনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার সামাজিক প্রগতিশীল নীতিকে সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার করেন।’

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসুফের পরিবার ১৯৬২ সালে সপরিবারে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে পাড়ি জমায়। ২০২১ সাল থেকে স্বাস্থ্য ও সমাজসেবা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা হামজা হলেন স্কটিশ সরকারের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ মন্ত্রী। এর আগে ২০১৬ সালে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) সদস্য হিসেবে গ্লাসগো পোলোক থেকে স্কটিশ সংসদের সদস্য ছিলেন তিনি।

এ নির্বাচনে হামজা ইউসুফের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন কনজারভেটিভ অর্থমন্ত্রী কেট ফোর্বস। আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে দেশটিতে নতুন নেতা নির্বাচন করা হবে। উল্লেখ্য, স্কটল্যান্ডে প্রায় ৭৫ হাজার মুসলিমের বসবাস। তাদের ৪০ শতাংশই থাকেন গ্লাসগো শহরে। দেশটিতে মুসলিমরা দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জনগোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত।