পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ২০২৫ সালের হজযাত্রীদের জন্য বিস্তারিত নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে ভারতীয় হজ কমিটি। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের নির্বাচিত হজযাত্রীদের হজের জন্য প্রথম কিস্তির জন্য ১,৩০,৩০০ টাকা করে জমা দিতে হবে। এই অর্থ জমা দেওয়ার সময়সীমা ৮ অক্টোবর থেকে ২১ অক্টোবরের মধ্যে নির্ধারিত হয়েছে। গতবার প্রথম কিস্তিতে ৮২ হাজার টাকা জমা দিতে বলা হয়েছেলি। তা এক ধাক্কায় প্রায় ৫০ হাজার টাকার কাছাকাছি বাড়ানো হল। কী কারণে এই বৃদ্ধি, তা অবশ্য স্পষ্ট করা হয়নি। তবে রাজ্য হজ কমিটির কার্যনিবাহী আধিকারিক মুহাম্মদ নকী জানিয়েছেন ২০২৫ সালের হজ গাইডে বলা হয়েছে প্রথম কিস্তিতে ১ লাখ ৩০ হাজার জমা করতে হবে। এ বছরও ভারতীয় হজযাত্রীদের পবিত্র ভূমি মক্কায় আজিজিয়াতে রাখা হবে।
এই মোট অর্থের মধ্যে ১,২৮,০০০ টাকা আগাম যাতায়াত খরচ হিসেবে নেওয়া হবে, ৩০০ টাকা অবশ্য অ-ফেরতযোগ্য প্রসেসিং ফি এবং ২,০০০ টাকা অন্যান্য সম্পর্কিত খরচের জন্য নেওয়া হবে। হজযাত্রীরা ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, নেট ব্যাঙ্কিং, ইউপিআই বা ‘হজ সুবিধা’ অ্যাপের মাধ্যমে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার যেকোনও শাখায় নগদ জমা করে অর্থ প্রদান করতে পারবেন।
২০২৫ সালের হজের মোট খরচ, ভারতীয় হজ কমিটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। অর্থ প্রদানের সময় যাত্রীদের ব্যাঙ্ক রেফারেন্স নম্বর প্রদান করতে হবে। প্রথম কিস্তির অর্থ জমা দেওয়ার পর, হজযাত্রীদের হজ আবেদনপত্র, অর্থ প্রদানের রসিদ এবং চিকিৎসা পরীক্ষার ও ফিটনেস শংসাপত্র সংশ্লিষ্ট হজ কমিটিতে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে জমা দিতে হবে। হজ কমিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলি আফাকি সঠিক সময় অর্থ প্রদান এবং নথি জমা দেওয়ার সময়সূচি মেনে চলার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন। সময়সীমা পূরণে ব্যর্থ হলে হজযাত্রীর হজযাত্রা বাতিল করা হবে।
আগামী বছরে হজের জন্য ভারতীয় হজ কমিটির মাধ্যমে ১.২ লক্ষাধিক মুসলিম নির্বাচিত হয়েছেন, যাদের নির্বাচনের প্রক্রিয়া সোমবার লটারির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। ২০২৫-এর হজের জন্য হজ কমিটির কোটা ১,২২,৫১৮। যেখানে মোট ১,৫১,৯১৮টি সঠিক আবেদন জমা পড়েছিল বলে হজ কমিটির এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। যাঁরা আগামী বছরে হজে যাবেন, তাঁদের একটি কম্পিউটারাইজড লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে।
হজ কমিটির সিইও লিয়াকত আলি আফাকি জানিয়েছেন, ৬৫ বছর বা তার ঊর্ধ্বে ১৪,৭২৮ জন হজযাত্রী এবং ৩,৭১৭ জন ‘মেহরাম’ (পুরুষ সঙ্গী) ছাড়া মহিলা হজযাত্রী লটারি ছাড়াই নির্বাচিত হয়েছেন।