ওয়াশিংটন: আর তিন সপ্তাহ পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে ফের প্রবেশ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তার কেচ্ছাকেলেঙ্কারি পিছু ছাড়ছে না। এক মার্কিন লেখিকাকে ধর্ষণ ও মানহানির অভিযোগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ ডলারের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রায় বহাল রেখেছে আমেরিকার একটি ফেডারেল আদালত। সাংবাদিক, লেখিকা ও কলাম লেখক এলিজাবেথ জিন ক্যারল নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এই মামলা ঠুকেছিলেন। আপিলে হেরে যাওয়ায় ট্রাম্পকে এখন ৫০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এর আগে এই মামলার বিচার কার্যক্রম ফের নতুন করে করবার আবেদন করেছিলেন ট্রাম্প। আদালতে সেই আবেদন নাকচ হয়। সে সময় আদালতের আদেশে বলা হয়, মামলায় অভিযোগকারীদের সাক্ষ্যসহ সব প্রমাণ যথাযথভাবে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন বলেই তিনি রেহাই পাবেন না!
Read More: ইসলামি বিপ্লবের পর ইরানে নারী শিক্ষা ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৭ শতাংশে
তবে এই মামলাটি বেশ পুরনো। এলিজাবেথ ক্যারলের অভিযোগ ছিল, ১৯৯৬ সালে নিউইয়র্কের একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরের ড্রেসিংরুমে ট্রাম্প তাকে ধর্ষণ করেছিলেন। ওই সময় তিনি এক বন্ধুর জন্য উপহার কিনতে সেখানে গিয়েছিলেন। পূর্বপরিচিত ট্রাম্প তাকে উপহার পছন্দ করে দিতে সাহায্য করছিলেন। সেই সুযোগে ট্রাম্প তাকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পাশাপাশি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগও করেন ক্যারল। পৃথক মানহানির একটি মামলায় ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালত ক্যারলকে ৮৩ লাখ ডলারের বেশি ক্ষতিপূরণ দিতে ট্রাম্পের প্রতি আদেশ দেয়। এই রায়ের বিরুদ্ধেও আপিল করেছেন ট্রাম্প। প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ারও ২০ বছর আগে ক্যারলকে ধর্ষণ ও মানহানির এই অভিযোগ অস্বীকার করেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের দাবি, প্রচার পেতে এমন ‘কল্পকাহিনি’ তৈরি করেছেন ক্যারল। এ ঘটনায় করা মামলায় গত বছরের মে মাসে ট্রাম্পকে দোষীসাব্যস্ত করেছিলেন একটি আদালত। তবে সে সময় আদালতের জুরি এটিকে ধর্ষণের মামলা হিসেবে উল্লেখ করেননি। রায়ে যৌন নির্যাতনের দায়ে ট্রাম্পকে ২০ লাখ ডলারের কিছু বেশি ও ক্যারলের মানহানির জন্য আরও ২৯ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়।