গাজা: ফিলিস্তিনের গাজায় নাগাড়ে হামলা চালাচ্ছে যায়নবাদী ইসরাইল। সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের পতনের পর ইরান, হিজবুল্লাহর সহযোগিতা অনেকটাই কমেছে। এই পরিস্থিতিতে হামাসকে কোণঠাসা করে দেওয়ার জন্য শরণার্থী শিবিরেও হামলা চালাচ্ছে নেতানিয়াহু বাহিনী। নতুন আশ্রয়ের খোঁজে ফের পালাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। একটি পোস্ট অফিসেও হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ৫০ জন। এ নিয়ে গাজায় ইসরাইলি হামলায় এক দিনে অন্তত ৬৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মোট নিহতের সংখ্যা ৪৪৮০০ ছাড়িয়েছে।
গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি পোস্ট অফিসে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। ইসরাইলি হামলার জেরে উদ্বাস্তু হওয়া পরিবারগুলো ওই পোস্ট অফিসে আশ্রয় নিয়েছিল। হামলায় পাশের কয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময় গাজা উপত্যকায় আটটি ঐতিহাসিক শরণার্থীশিবির স্থাপন করা হয়েছে। এরই একটি নুসেইরাত শরণার্থীশিবির। বর্তমানে ব্যাপক জনবহুল এ শিবিরে পুরো গাজায় উদ্বাস্তু হওয়া পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছে। মাঘাজির শরণার্থী শিবিরও খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। শিবির ছেড়ে প্রাণ নিয়ে পালাচ্ছে অসহায় ফিলিস্তিনিরা।
Read More: ফেসবুক, গুগলের কাছ থেকে অর্থ নিতে নতুন আইন করছে অস্ট্রেলিয়া
দিনের শুরুতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে পৃথক ইসরাইলি হামলায় ১৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামাস ও গাজায় কর্মরত চিকিৎসাকর্মীরা জানান, নিহত ব্যক্তিরা মানবিক সহায়তার ট্রাকগুলো পাহারা দেওয়ার কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন। তবে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, নিহত ব্যক্তিরা হামাসের যোদ্ধা ছিলেন। হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজাবাসীর জন্য আনা মানবিক সহায়তার ট্রাকগুলোর নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত অন্তত ৭০০ জন ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন। ইসরাইল মানবিক সহায়তা লুটপাট হওয়া ঠেকানোর কথা বারবার বললেও এসব হামলার মধ্য দিয়ে গাজাবাসীর জন্য মানবিক সহায়তা পাওয়া ঠেকাতে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়েছে। এদিকে গাজার কেন্দ্রস্থলের বেশ কিছু এলাকা খালি করে দিতে নির্দেশনা দিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। বলা হয়েছে, এসব এলাকা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর ওপর রকেট ছোড়া হয়েছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় এলাকা খালি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।