০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সমকামিতা সুপ্রিম রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে ফের পিটিশন দাখিল

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 7

নয়াদিল্লি, ২৩ নভেম্বর: সমকামী বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের ১৭ অক্টোবরের সেই রায়কে এবার পুনর্বিবেচনা করে দেখার জন্য আরও একটি পিটিশন দাখিল হয় শীর্ষ আদালতে। ১ নভেম্বর সেটি দাখিল হয়েছিল। আর বৃহস্পতিবার সেই রিভিউ পিটিশনটি বিবেচনা করতে রাজী হয়েছে শীর্ষ আদালত। রিভিউ পিটিশনে খোলা আদালতে তাদের আবেদনের শুনানির আর্জি জানানো হয়েছে। পিটিশনকারীদের তরফে প্রবীণ আইনজীবী মুকুল রোহাতগি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চে পিটিশনটি দাখিল করেছেন।

উল্লেখ্য, গত মাসে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ বলেছিল যে,সমকামী বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দিতে ১৯৫৪ সালের ‘বিশেষ বিবাহ আইন’ (এসএমএ)-কে তারা পরিবর্তন করতে পারে না। শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, এ ক্ষেত্রে যা করার তা আইনসভাই করতে পারে। কেন্দ্র নতুন আইন করে তা করতে পারে। আদালতের দ্বারা তা করার চেষ্টা হলে সেটি আইনসভার এক্তিয়ারের উপর হস্তক্ষেপ হবে। যদিও এদিনের রিভিউ পিটিশনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া ১৭ অক্টোবরের রায়টি ‘স্ব-বিরোধী’ এবং স্পষ্টতই ‘অন্যায়’। সমকামীদের প্রতি বৈষম্যের কথা স্বীকার করা হয়েছে রায়ে। তা সত্ত্বেও বৈষম্যের কারণ দূর করা হয়নি। সমলিঙ্গের দম্পতিদের সমান অধিকার অস্বীকার করে আইনসভা। সাধারণ মানুষ হিসেবেই গণ্য করা হয় না তাঁদের।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রও সমলিঙ্গ বিবাহের বিরোধিতা করেছে। তারা সমকামিতাকে শহুরে অভিজাত শ্রেণির বিষয় বলে মনে করে। কেন্দ্র সেই শুরু থেকেই সমকামী বিবাহের বিরোধিতা করে আসছে। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছিল, সমলিঙ্গ বিবাহ এবং অসমলিঙ্গ বিবাহের মধ্যে স্পষ্ট বিভাজন রয়েছে। তাই দুটোকে এক ভাবে দেখা উচিত নয়। সমলিঙ্গ সম্পর্কের স্বীকৃতি পাওয়ার অর্থ এই নয় যে, সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দিতে হবে। অসমলিঙ্গ বিবাহের সামাজিক স্বীকৃতি রয়েছে। কেবল যৌনতা বা সম্পর্ক নয়, দেশ ও সমাজের উন্নতির জন্যই অসমলিঙ্গ বিয়ের স্বীকৃতি দরকার। সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দিলে দেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সমকামিতা সুপ্রিম রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে ফের পিটিশন দাখিল

আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার

নয়াদিল্লি, ২৩ নভেম্বর: সমকামী বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের ১৭ অক্টোবরের সেই রায়কে এবার পুনর্বিবেচনা করে দেখার জন্য আরও একটি পিটিশন দাখিল হয় শীর্ষ আদালতে। ১ নভেম্বর সেটি দাখিল হয়েছিল। আর বৃহস্পতিবার সেই রিভিউ পিটিশনটি বিবেচনা করতে রাজী হয়েছে শীর্ষ আদালত। রিভিউ পিটিশনে খোলা আদালতে তাদের আবেদনের শুনানির আর্জি জানানো হয়েছে। পিটিশনকারীদের তরফে প্রবীণ আইনজীবী মুকুল রোহাতগি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চে পিটিশনটি দাখিল করেছেন।

উল্লেখ্য, গত মাসে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ বলেছিল যে,সমকামী বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দিতে ১৯৫৪ সালের ‘বিশেষ বিবাহ আইন’ (এসএমএ)-কে তারা পরিবর্তন করতে পারে না। শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, এ ক্ষেত্রে যা করার তা আইনসভাই করতে পারে। কেন্দ্র নতুন আইন করে তা করতে পারে। আদালতের দ্বারা তা করার চেষ্টা হলে সেটি আইনসভার এক্তিয়ারের উপর হস্তক্ষেপ হবে। যদিও এদিনের রিভিউ পিটিশনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া ১৭ অক্টোবরের রায়টি ‘স্ব-বিরোধী’ এবং স্পষ্টতই ‘অন্যায়’। সমকামীদের প্রতি বৈষম্যের কথা স্বীকার করা হয়েছে রায়ে। তা সত্ত্বেও বৈষম্যের কারণ দূর করা হয়নি। সমলিঙ্গের দম্পতিদের সমান অধিকার অস্বীকার করে আইনসভা। সাধারণ মানুষ হিসেবেই গণ্য করা হয় না তাঁদের।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রও সমলিঙ্গ বিবাহের বিরোধিতা করেছে। তারা সমকামিতাকে শহুরে অভিজাত শ্রেণির বিষয় বলে মনে করে। কেন্দ্র সেই শুরু থেকেই সমকামী বিবাহের বিরোধিতা করে আসছে। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছিল, সমলিঙ্গ বিবাহ এবং অসমলিঙ্গ বিবাহের মধ্যে স্পষ্ট বিভাজন রয়েছে। তাই দুটোকে এক ভাবে দেখা উচিত নয়। সমলিঙ্গ সম্পর্কের স্বীকৃতি পাওয়ার অর্থ এই নয় যে, সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দিতে হবে। অসমলিঙ্গ বিবাহের সামাজিক স্বীকৃতি রয়েছে। কেবল যৌনতা বা সম্পর্ক নয়, দেশ ও সমাজের উন্নতির জন্যই অসমলিঙ্গ বিয়ের স্বীকৃতি দরকার। সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দিলে দেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।