পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ‘ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়’- প্রচলিত একটি প্রবাদ রয়েছে। আর সেটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন রাহুল গান্ধি। উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে হিংসার শিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। বলা বাহুল্য, সম্প্রতি নির্যাতিত ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার সময় মাঝ পথেই তাঁদের আটকে দিয়েছিল পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশে প্রবেশের মুখেই তাঁদের আটানো হয়। ফলে সম্ভল না গিয়েই দিল্লি ফিরতে হয় রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কাকে। মূলত দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ বা গাজিপুর সীমানায় আটকে দেওয়া হয়েছিল রাহুল-প্রিয়াঙ্কাকে। তাই এদিন নিপীড়িতদের পরিবারকে নিজস্ব বাসভবনেই ডেকে নেন কংগ্রেস নেতা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লির ১০ জনপথের বাসভবনে হিংসা পীড়িত ৫ পরিবারের সদস্যর সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেসের অন্যতম দুই নেতা-রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা। এছাড়াও ছিলেন, রিজওয়ান কুরেশি, শচীন চৌধুরি এবং প্রদীপ নারওয়াল।
জানা গেছে, উত্তরপ্রদেশে রাহুলের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় দিল্লিতে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। দেড় ঘণ্টা ধরে চলে এই সাক্ষাৎ। রাহুল গান্ধি এদিন নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কংগ্রেসের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখা হয়েছে যে, মঙ্গলবার রাহুলের দিল্লির ১০ জনপথের বাসভবনে সম্ভলে ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কংগ্রেসের উচ্চপদস্থ নেতা-কর্মীরা।
পোস্টে সম্ভলের ঘটনাকে বিজেপির রাজনৈতিক স্বীকার বলেও তোপ দাগা হয়। এছাড়া এহেন ঘটনা শান্তিপূর্ণ সমাজের জন্য মারাত্মক আক্রমণ শানানো হয়। পোস্টে আরও লেখা হয়েছে, আমাদের একত্রে সহিংস ও ঘৃণাপূর্ণ মানসিকতাকে ভালবাসা এবং ভ্রাতৃত্বের সঙ্গে পরাস্ত করতে হবে। কংগ্রেস ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং তাদের ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করার অঙ্গীকার করেছে।