৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সব ক্ষেত্রেই বিজেপির ষড়যন্ত্র: Abhishek Banerjee

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার
  • / 52

চাকরি হারানো থেকে একশো দিনের কাজ

পুবের কলম, প্রতিবেদক: একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে চাকরি বাতিল সবেতেই বিজেপির যোগ দেখছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। সুপ্রিম কোর্টের চাকরি বাতিলের পর থেকেই চাকরি হারারা আন্দোলনে নেমেছেন। এই অবস্থায় তাদের একাংশ রাজ্য সরকারকেও যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও চাকরি হারানোর জন্য দায়ী করছেন। সুপ্রিম রায়ের পর থেকে আজকের আগে পর্যন্ত এই নিয়ে চুপ ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কিন্তু শনিবার খড়দহে একটি বেসরকারি হাসপাতালের উদ্বোধনে এসে রাজ্যের মানুষকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পদে পদে হেনস্থার জন্য বিজেপিকেই দায়ী করলেন অভিষেক। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা থেকে শুরু করে চাকরি হারানো। সব ক্ষেত্রেই একবারে প্যানেল ধরে যেভাবে মানুষকে বঞ্চিত করা হয়েছে তাতে একই অনুসঙ্গ দেখছেন তিনি। যদিও সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন আদালতকে তারা সম্মান করেন। আদালত নয় বৃহৎ সংখ্যক মানুষের স্বার্থ যেখানে জড়িয়ে এই অবস্থায় রায়ের সমালোচনা করছেন তিনি।

আরও পড়ুন: রাজ্যে মমতা না থাকলে নয়া ওয়াকফ আইন চালু হয়ে যাবে: ফিরহাদ

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বললেন, ‘যখন উন্নয়নের পথে আমাদের পরাস্ত করতে পারছে না, তখন ধর্মের নামে সমাজকে ভাগ করে বাংলাকে অস্থির করার চক্রান্ত করছে কেউ কেউ। আমি সকলকে অনুরোধ করব, শান্তি বজায় রাখুন, বাংলার ঐতিহ্য, সৌহার্দ্য ও সংহতি রক্ষা করুন। আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেউ চায় বাংলায় আগুন জ্বলুক, কেউ চায় রাজ্যের অর্থ আটকে মানুষকে অনাহারে মরতে হোক। কিন্তু যতদিন আমাদের সরকার রয়েছে, ততদিন কেউ বাংলার একজন মানুষকেও প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না। আগেও কেন্দ্র নানা অজুহাতে টাকা আটকে রেখেছে, কিন্তু আমরা মানুষকে লড়ে পাইয়ে দিয়েছি।’

আরও পড়ুন: ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে উত্তাপের মাঝে শান্তির বার্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা বিচারব্যবস্থাকে শ্রদ্ধা করি এবং বিশ্বাস করি তা পক্ষপাতহীন। তবে কোনও রায় যদি কারও পছন্দ না হয়, তা নিয়ে মত প্রকাশ করার অধিকার সংবিধান দেয়। আমি মনে করি এই রায় বিজেপির বাংলা-বিরোধী মানসিকতার প্রতিফলন। কয়েকজনের ভুলের দায়ে ৫৯ লক্ষ কাজের কার্ডধারীর টাকা আটকে দেওয়া, অথবা অভিযোগ পেলে পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও আবাস যোজনার মতো প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া;এসব একতরফা বঞ্চনা ছাড়া কিছু নয়।’ তিনি বলেন, ‘যদি ধরেও নেওয়া যায় যে কয়েক হাজার চাকরি প্রার্থীর মধ্যে কিছু অনিয়ম হয়েছে, তাহলে তার জন্য সতেরো হাজার প্রকৃত প্রাপকের চাকরি কেড়ে নেওয়া ন্যায়সঙ্গত নয়। যাঁরা প্রকৃত দোষী, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হোক। কিন্তু সমস্ত প্রার্থীকে একজোট করে শাস্তি দেওয়া কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) এই মন্তব্যে পরিষ্কার;আদালতের রায়কে সম্মান জানিয়ে হলেও, বৃহৎ সংখ্যক নির্দোষের উপর তার প্রভাব নিয়েই শাসক দলের গভীর আপত্তি রয়েছে। আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল ভঙ্গিতেই উঠে এল শীর্ষ নেতার বার্তা;তৃণমূল তাঁদের পাশে রয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সব ক্ষেত্রেই বিজেপির ষড়যন্ত্র: Abhishek Banerjee

আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার

চাকরি হারানো থেকে একশো দিনের কাজ

পুবের কলম, প্রতিবেদক: একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে চাকরি বাতিল সবেতেই বিজেপির যোগ দেখছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। সুপ্রিম কোর্টের চাকরি বাতিলের পর থেকেই চাকরি হারারা আন্দোলনে নেমেছেন। এই অবস্থায় তাদের একাংশ রাজ্য সরকারকেও যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও চাকরি হারানোর জন্য দায়ী করছেন। সুপ্রিম রায়ের পর থেকে আজকের আগে পর্যন্ত এই নিয়ে চুপ ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কিন্তু শনিবার খড়দহে একটি বেসরকারি হাসপাতালের উদ্বোধনে এসে রাজ্যের মানুষকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পদে পদে হেনস্থার জন্য বিজেপিকেই দায়ী করলেন অভিষেক। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা থেকে শুরু করে চাকরি হারানো। সব ক্ষেত্রেই একবারে প্যানেল ধরে যেভাবে মানুষকে বঞ্চিত করা হয়েছে তাতে একই অনুসঙ্গ দেখছেন তিনি। যদিও সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন আদালতকে তারা সম্মান করেন। আদালত নয় বৃহৎ সংখ্যক মানুষের স্বার্থ যেখানে জড়িয়ে এই অবস্থায় রায়ের সমালোচনা করছেন তিনি।

আরও পড়ুন: রাজ্যে মমতা না থাকলে নয়া ওয়াকফ আইন চালু হয়ে যাবে: ফিরহাদ

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বললেন, ‘যখন উন্নয়নের পথে আমাদের পরাস্ত করতে পারছে না, তখন ধর্মের নামে সমাজকে ভাগ করে বাংলাকে অস্থির করার চক্রান্ত করছে কেউ কেউ। আমি সকলকে অনুরোধ করব, শান্তি বজায় রাখুন, বাংলার ঐতিহ্য, সৌহার্দ্য ও সংহতি রক্ষা করুন। আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেউ চায় বাংলায় আগুন জ্বলুক, কেউ চায় রাজ্যের অর্থ আটকে মানুষকে অনাহারে মরতে হোক। কিন্তু যতদিন আমাদের সরকার রয়েছে, ততদিন কেউ বাংলার একজন মানুষকেও প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না। আগেও কেন্দ্র নানা অজুহাতে টাকা আটকে রেখেছে, কিন্তু আমরা মানুষকে লড়ে পাইয়ে দিয়েছি।’

আরও পড়ুন: ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে উত্তাপের মাঝে শান্তির বার্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা বিচারব্যবস্থাকে শ্রদ্ধা করি এবং বিশ্বাস করি তা পক্ষপাতহীন। তবে কোনও রায় যদি কারও পছন্দ না হয়, তা নিয়ে মত প্রকাশ করার অধিকার সংবিধান দেয়। আমি মনে করি এই রায় বিজেপির বাংলা-বিরোধী মানসিকতার প্রতিফলন। কয়েকজনের ভুলের দায়ে ৫৯ লক্ষ কাজের কার্ডধারীর টাকা আটকে দেওয়া, অথবা অভিযোগ পেলে পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও আবাস যোজনার মতো প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া;এসব একতরফা বঞ্চনা ছাড়া কিছু নয়।’ তিনি বলেন, ‘যদি ধরেও নেওয়া যায় যে কয়েক হাজার চাকরি প্রার্থীর মধ্যে কিছু অনিয়ম হয়েছে, তাহলে তার জন্য সতেরো হাজার প্রকৃত প্রাপকের চাকরি কেড়ে নেওয়া ন্যায়সঙ্গত নয়। যাঁরা প্রকৃত দোষী, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হোক। কিন্তু সমস্ত প্রার্থীকে একজোট করে শাস্তি দেওয়া কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) এই মন্তব্যে পরিষ্কার;আদালতের রায়কে সম্মান জানিয়ে হলেও, বৃহৎ সংখ্যক নির্দোষের উপর তার প্রভাব নিয়েই শাসক দলের গভীর আপত্তি রয়েছে। আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল ভঙ্গিতেই উঠে এল শীর্ষ নেতার বার্তা;তৃণমূল তাঁদের পাশে রয়েছে।