পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ২০২৪-এ বিশ্বজুড়ে বিমান দুর্ঘটনার ভয়াবহ চিহ্নিত হয়ে থাকবে। একাধিক বিমান দুর্ঘটনা শত শত প্রাণহানি ঘটিয়েছে এবং বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
বছরের শেষ প্রান্তে পৌঁছেও দক্ষিণ কোরিয়া ও আজারবাইজানে ঘটে যাওয়া দুটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা পুরো বিশ্বের নজর কেড়েছে। ২০২৪ সালে আরও কী কী উল্লেখযোগ্য বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে, ফিরে দেখা যাক।
জাপান: ২ জানুয়ারি
টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরে একটি জাপান এয়ারলাইন্সের বিমান এবং কোস্ট গার্ডের একটি ছোট বিমান ধাক্কা খায়। ৬ জন মারা যান।
কানাডা: ২৩ জানুয়ারি
কানাডার নর্থওয়েস্ট টেরিটরিজে একটি বিমান দুর্ঘটনায় ছ’জন মারা যান।
ইরান: ১৯ মে
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং আরও ছয়জন যাত্রী, মোট ৭ জন একটি বেল ২১২ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যান।
মালাওয়ি: ১০ জুন
মালাওয়ির ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি-সহ ১০ জন একটি সামরিক বিমানে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।
নেপাল: ২৪ জুলাই
নেপালের কাঠমান্ডু থেকে পোখরা যাওয়ার পথে একটি সিএআরজে-২০০ বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। একমাত্র ক্যাপ্টেন ছাড়া মোট ১৮ জন মারা যান।
ব্রাজিল: ১১ আগস্ট
ব্রাজিলের ভিনহেদোতে ভোইপাসের একটি এটিআর-৭২ টার্বোপ্রপ বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমানের সমস্ত ৬২ জন যাত্রী মারা যান।
থাইল্যান্ড: ২৩ অগস্ট
থাইল্যান্ডে একটি ডোমেস্টিক চার্টার্ড ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয়। ৯ জন যাত্রী দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।
আর্জেন্টিনা: ১৭ ডিসেম্বর
আর্জেন্টিনার সান ফার্নান্দো বিমানবন্দরের কাছে একটি বোমবার্ডিয়ার চ্যালেঞ্জার ৩০০ বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি রানওয়ে মিস করে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আগুন ধরে যায়। ২ জন মারা যান।
হাওয়াই: ১৭ ডিসেম্বর
হাওয়াইয়ের ড্যানিয়েলকে ইনুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে একটি সেসনা ২০৮বি গ্র্যান্ড কারাভান বিমান বিধ্বস্ত হয়। ২ জন পাইলট দুর্ঘটনায় মারা যান।
ব্রাজিল: ২২ ডিসেম্বর
ব্রাজিলের গ্রামাডোতে একটি প্রাইভেট প্লেন ভেঙে পড়ে। বিমানের পাইলট, লুইজ ক্লাউদিও গালিয়াজি, তার স্ত্রী, তিন কন্যা এবং আরও পাঁচজন পরিবারের সদস্য, মোট ১০ জন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। বিমানটি একটি বাড়ির চিমনি এবং একটি দোকানের সঙ্গে ধাক্কা খায়। অন্তত ১৭ জন ব্যক্তি আহত হন।
স্কটল্যান্ড: ২৩ ডিসেম্বর
স্কটল্যান্ডের ফাইফ এয়ারপোর্টের কাছে একটি ছোট বিমান বিধ্বস্ত হয়। ৫০ বছর বয়সি পাইলট দুর্ঘটনায় নিহত হন। টেক-অফের কিছুক্ষণ পর বিমানটি অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করে এবং একটি মাঠে ভেঙে পড়ে।
কাজাখস্তান দুর্ঘটনা: ২৫ ডিসেম্বর
আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট কাজাখস্তানের আকতাউ শহরের কাছে বিধ্বস্ত হয়। বিমানের ৩৮ জন মারা গেলেও, ২৯ জন জীবিত ছিলেন। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ জানান, রাশিয়ার মাটি থেকে ছোড়া গুলির কারণে বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিমানটি উচ্চতা ও গতির সমস্যায় পড়েছিল এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল।
দক্ষিণ কোরিয়া: ২৮ ডিসেম্বর
থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলগামী একটি বোয়িং বিমান জেজু এয়ার পরিচালনায় মুয়ান এয়ারপোর্টে জরুরি অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। বিমানের ১৭৫ জন যাত্রী এবং চারজন ত্রু« সদস্য মারা যান। বিমানের বেলি-ল্যান্ডিং শেষে রানওয়ে অতিক্রম করে দেওয়ালে আঘাত লেগে আগুন ধরে যায়। ১৭৯ জন মারা যান, দু’জন ত্রুকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।