পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: টিক টিক ১.. টিক টিক ২.. টিক টিক ৩..! অপেক্ষার আর কয়েকঘণ্টা মাত্র! তারপরেই নতুন বছরের সূর্য দেখবে সমগ্র বিশ্ব। ইংরেজির এই নতুন বছরকে আলিঙ্গন করে নেবেন দেশের ৮ থেকে ৮০। এই শেষ হতে চলা ২০২৪ সালে শিরোনামে কখনও উঠে এসেছে সুখস্মৃতি তো কখনও উঠে এসেছে বেদনাদায়ক কিছু খবর। রাজনীতির ময়দান থেকে শুরু করে ক্রীড়াঙ্গন, অভিনয় থেকে শুরু করে সঙ্গীত জগত। এক এক করে খসে পড়েছে একাধিক নক্ষত্র। যেই শূন্যস্থান অপূরণীয়। বছরের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ফের একবার ডায়রির সূচিপত্রে চোখ বোলাল পুবের কলম ডিজিটাল।
read more: ফিরে দেখা ২০২৪-এ বিশ্বে আলোচিত ঘটনা
রাজনীতি
মনমোহন সিং: ২০২৪ এর ২৬ ডিসেম্বর প্রয়াত হন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯২। ভারতের অর্থনীতির অন্যতম রূপকার বলা হত তাঁকে।
রতন টাটা: চলতি বছরের ৯ অক্টোবর প্রয়াত হন শিল্পপতি রতন টাটা। ব্রিজ ক্যান্ডি হাসপাতালে জীবনাবসান হয় তাঁর।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য: ২০২৪ এর ৮ আগস্ট প্রয়াত হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮০। শারীরিক সমস্যার জন্য ১১ বছর ধরে ঘরবন্দি ছিলেন বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
ইদ্রিশ আলি- দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন তিনি। ভুগছিলেন একাধিক রোগে। বাড়ি থেকেও বেরোতে পারতেন না। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।
হাজি নুরুল ইসলাম: দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি। গত ২৫ সেপ্টেম্বর আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে অনন্তের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ শেখ হাজি নুরুল ইসলাম। ৬১ বছর বয়সে দত্তপুকুরের বহেরার বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
বাবা সিদ্দিকী: ১২ অক্টোবর নিজের বিধায়ক পুত্রের দফতরের সামনে দাঁড়িয়ে দশেরার বাজি ফাটানোর সময় আততায়ীদের গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যান মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি। লীলাবতী হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় এনসিপির অজিত পওয়ার শিবিরের নেতার। খুনের নেপথ্যে বিষ্ণোই গ্যাং।
সীতারাম ইয়েচুরি : ১২ সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। ফুসফুসে সংক্রমণের জেরে দিল্লি এইমসে চিকিৎসাধীন ছিলেন বাম নেতা।
সঙ্গীত জগত
জাকির হুসেন: ৭৩ বছর বয়সে, ২০ ডিসেম্বর সবাইকে কাঁদিয়ে চলে যান তবলা উস্তাদ জাকির হোসেন। সান ফ্রান্সিসকোতে তাঁর মৃত্যু হয়। এবং তারপর গোটা ভারত শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়ে।
উস্তাদ রাশিদ খানঃ ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে গত বছর ২২ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন শিল্পী। তাঁকে ভর্তি করা হয় পিয়ারলেস হাসপাতালে। এছাড়া প্রস্টেট ক্যান্সারে ভুগছিলেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী রাশিদ খান। ৯ জানুয়ারি থেমে যায় তাঁর লড়াই।
অভিনয় জগত
শ্রীলা মজুমদার- বাংলার এক অনবদ্য অভিনেত্রী তিনি। তিন বছর ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করার পর ২৭ জানুয়ারি পাড়ি দেন না ফেরার দেশে।
মনোজ মিত্র- ১২ নভেম্বর, ৮৬ বছর বয়সে বাংলা সিনেমা থিয়েটারের এবং নাট্যব্যক্তিত্ব মনোজ মিত্র না ফেরার দেশে পাড়ি দেন। বাংলা ছবির ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অস্বীকার করার নয়।
উমা দাশগুপ্ত: ১৮ নভেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ‘পথের পাঁচালী’র দুর্গা ওরফে উমা দাশগুপ্ত। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি। শৈশব থেকেই থিয়েটার করতেন উমাদেবী। বাংলা সিনেমার অতি পরিচিত মুখ তিনি।