পুবের কলম প্রতিবেদকঃ নিজের গড় ৮২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। মঙ্গলবার জয়ের ফল প্রকাশ হতেই আগামী পাঁচ বছরের জন্য মূল পরিকল্পনাগুলি তুলে ধরেন তিনি। তার মধ্যে অন্যতম রিপোর্ট কার্ড। প্রত্যেক বছরে কাউন্সিলররা কি কাজ করলেন এবং আগামী বছরের জন্য কি পরিকল্পনা রয়েছে তা বিস্তারিত জানাতে হবে সেই রিপোর্ট কার্ডে। এরপর সেই রিপোর্ট কার্ড পৌঁছে দেওয়া হবে ওয়ার্ডের প্রত্যেক বাসিন্দাদের বাড়িতে। দায়বদ্ধতার সঙ্গে প্রত্যেক কাউন্সিলরের কাজের হিসেবে দিতে হবে জনগণকে।পুরভোটে জয় নিয়ে প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিল ঘাসফুল শিবির।
মঙ্গলবার গণনা শুরু হতেই কিছুক্ষণের মধ্যেই কলকাতায় হাওয়ায় উড়তে শুরু করে সবুজ আবীর। শাসকদলের একের পর এক হেভিওয়েট প্রার্থী জয়ী হন। কলকাতায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তৃণমূল। ১৪ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হন ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এবার কলকাতার পুর নির্বাচনে নজরের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তিনি। তৃণমূল পুরবোর্ড গঠন করলে আবারও তাঁকেই মেয়র করা হবে বলে অনুমান রাজনৈতিক মহলের।
এ বিষয়ে কৌতূহল দৃষ্টিতে তাকিয়ে গোটা শহরবাসী। যদিও এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য– ‘দলের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ২৩ ডিসেম্বর বৈঠকের পর মেয়রের নাম ঘোষণা করা হবে। দলের সিদ্ধান্তই এখানে শেষ কথা। দেখুন মানুষ আমাদের দু’হাত তুলে আশির্বাদ করেছেন। এত বড় জয় তৃণমূল এর আগে কোনওদিন পায়নি। বিধানসভা ভোটের নিরিখেও আমাদের জয়ের ব্যবধান অনেকটা বেড়েছে। সুতরাং যত বড় জয় হবে– মানুষের প্রতি আরও বেশি করে দায়বদ্ধ হব আমরা। তাঁদের মানুষের প্রত্যাশা পূরণে দিনরাত খাটতে হবে। মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা আমাদের ধর্ম।’
কলকাতা পুরসভায় তৃণমূলের বোর্ড গঠন করা এখন সময়ের অপেক্ষা। নতুন করে বোর্ড গঠনের পর কোন কোন বিষয়ে জোর দেবে তৃণমূল? কোন পথে কাজ করবে তৃণমূল পরিচালিত নতুন বোর্ড?
এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে ফিরহাদ হাকিম বলেন– ‘আমাদের মূল কাজ হবে এডিবির কাজ গুলি দ্রুত শেষ করা। দুশো নতুন পাম্প বসানো হবে জল নামানোর জন্য। কলকাতায় বৃষ্টির চরিত্র পাল্টেছে অনেকটাই– সেই অনুসারে পুরো বিষয়টি পরিকল্পনা করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এসে ড্রেনেজ সিস্টেম বা নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতি করা। কলকাতায় দূষণ কমানোও আমাদের অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।’