পুবের কলম প্রতিবেদকঃ বছর শুরুর প্রথম দিনই কৈখালি চিড়িয়ামোড়ে একটি কেমিক্যাল তৈরির কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। শনিবার সকাল ১১ টা মিনিট নাগাদ কৈখালি চিড়িয়ামোড়ের ‘গলি কারখানা’ এলাকার একটি পুরানো রঙ তৈরি কারখানায় ঘটে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। ঘটনায় ফ্যাক্টরির ভিতর আটকে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম কানাইচন্দ্র সাঁতরা (৬৪)। এদিকে বেলা গড়াতেই কারখানার আগুনে ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় আকাশ। আর এতেই রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই এলাকার আবাসনের বাসিন্দারা। আগুন নিয়ন্ত্রণে দমকলের ১৭টি ইঞ্জিন লাগে।
জেলা ফায়ার ডিভিশনাল অফিসার দেবতনু বোসের অভিযোগ– এয়ারপোর্টের পাঁচিল লাগোয়া ক্ষতিগ্রস্ত রাসায়নিক কারখানাটি তৈরিতে আইন মানা হয়নি। তিনি জানান– তদন্ত শুরু করে দোষীদের প্রতি উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর– এদিন গলি কারখানার একটি গেঞ্জি ফ্যাক্টরিতে প্রথমেই ঘটে অগ্নিসংযোগ। সেই ফুলকি গেঞ্জি ফ্যাক্টরির পাশের পূজা কেমিক্যাল কারখানায় ছড়িয়ে পড়তে মূহূর্তের মধ্যেই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন। টিনের ছাউনিতে মোড়া কেমিক্যাল কারখানার ভিতরে রঙ তৈরির কাঁচা উপকরণ সহ অন্যান্য দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুনের সেই রূপ দ্রুত পাল্টে ভয়াভহ আকার ধারন করে। গেঞ্জি ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দমদম ফায়ার কেন্দ্র থেকে প্রথমে ৮টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে লাগে। দমকল কর্মীদের প্রচেষ্টায় দ্রুত সেই আগুন আয়ত্তেও আসে। কিন্তু পাশের কেমিক্যাল কারখানার আগুন আটকাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় দমকল বাহিনীকে।
পরিস্থিতি বেগতি বুঝে পরবর্তিতে দমকলের আরও ৯ টি ইঞ্জিন আনা হয়। এলাকাটি সরু গলি হওয়ার দরুন দমকল কর্মীদের কাজে তীব্র ব্যাঘাত ঘটে। শেষমেষ দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা এই দুই ‘বাহিনী’র ঘন্টা পাঁচেকের দীর্ঘ লড়াইয়ে কেমিক্যাল কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে তদারকি করেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।
ছিলেন– স্থানীয় বিধায়ক অদিতি মুন্সি– তৃণমূল যুবনেতা দেবরাজ চক্রবর্তী– সম্রাট বড়ুয়া। দমকল মন্ত্রী বলেন– ‘ঘটনাটি ছিল সরু গলি এলাকায়। দমকলের গাড়ি প্রবেশে বাধার মুখে পড়তে হয়। ফলে কর্মীদের আগুন নিয়ন্ত্রনে কিছুটা সময় লেগেছে। আগুনের কারণ জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত’।। এদিকে– আগুনের কবলে রাসায়নিক এবং গেঞ্জি দুই ফ্যাক্টরিতে বিপুল পরিমাণ দ্রব্য সামগ্রীর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগুনের কারণ এখনও স্পষ্ট হয়নি। তা জানতে তদন্তে নেমেছে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ।