পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ অবশেষে বালি পুরসভাকে আলাদা করার বিলে সই করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। অবশেষে ভোট নিয়ে বাধা দূর হল। হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। ২৭ ফেব্রুয়ারি বালি পুরসভার ভোট হবে। ২২ জানুয়ারি ভোট হবে হাওড়া পুরনিগমের।
হাওড়া পুরনিগম থেকে ও বালিকে পৃথক করে পৃথক পুরসভা করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য মন্ত্রিসভা৷ ২০১১ সালের আগেও বালি ও হাওড়া দুটি পৃথক ছিল৷ তৃণমূল ক্ষমতার আসার পর হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় বালি পুরসভাকে৷ এবং ২০১৫-র জুলাই মাসে বালি পুরসভা অস্তিত্ব খুইয়ে তা হাওড়া পুরনিগমের আওতায় চলে আসে৷ ২০২১-এ ফের আলাদা করে দেওয়া হল হাওড়া ও বালিকে৷ কিন্তু পুরভোটের আগে এই পৃথকীকরণ নিয়ে গোল বাধে৷ হাওড়া পুরনিগম (সংশোধনী) বিল ২০২১-এ সই না করে ঝুলিয়ে রাখেন রাজ্যপাল৷ হাওড়া পুরনিগম থেকে বালি পুরসভাকে পৃথক করার যে বিল রাজভবনে পড়েছিল এতদিন পর তাতে সই করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ ফলে হাওড়া ও বালির ভোট নিয়েও আর জটিলতা থাকল না৷
হাওড়া পুরনিগমে মোট ৫০টি ওয়ার্ড ছিল৷ ২০১৫ সালে হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে বালি যুক্ত হওয়ার পর ওয়ার্ড সংখ্যা বেড়ে হয় ৬৬৷ হাওড়া ও বালি পুরসভার সংযুক্তি নিয়ে সেই সময় তুমুল বিক্ষোভ হয়েছিল৷ বালি পুরসভা পৃথক থাকার সময় সেখানে ৩৫টি ওয়ার্ড ছিল৷ হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর তা ভেঙে ১৬টি করা হয়৷ একাধিক ওয়ার্ড জুড়ে একটি ওয়ার্ড করা হয়৷ ছয় বছর পর ফের হাওড়া ও বালিকে আলাদা করে দেওয়া হল৷ তবে বালি পুরসভার ওয়ার্ড বিন্যাস কী ভাবে হবে, তা এখনও ঠিক করা হয়নি৷
গত বছর বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে পাশ হয় হাওড়া পুরসভা (সংশোধনী) বিল, ২০২১। তার পরই নিয়ম মেনে ওই বিল রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়। রাজ্যপালের স্বাক্ষর পেলে তা আইনে পরিণত হবে। কিন্ত কিন্তু তাতে সই না করে ওই বিল সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আরও ব্যাখ্যা চান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল জটিলতা। এবার কাটল জট।