নয়াদিল্লি, ২০ ডিসেম্বর: লোকসভায় ভোটাভুটিতে জয় হয়েছিল শাসক শিবিরের। ফলে আলোচনার জন্য ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিলটিকে এবার পাঠিয়ে দেওয়া হল যৌথ সংসদীয় কমিটি(জেপিসি)-তে। এর আগে লোকসভায় বিলটি পেশ করার চেষ্টা হলে ডিভিশন দাবি করে বিরোধীরা। যদিও তাদের দাবি মেনে ভোটাভুটি হলেও তাতে লাভ হয়নি ইন্ডিয়া জোটের। ফলে বিলটি নিয়ে সংসদে আলোচনায় আর কোনও বাধা থাকল না। যদিও তার আগে জেপিসিতে আলোচনা সেরে নিতে চায় কেন্দ্র। সেইমতো এদিন বিলটি জেপিসে পাঠানো হয় এবং কমটিও গঠিত হয়। তবে, ভোটাভুটি থেকে এটা অবশ্য স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল-সংসদে বিজেপির দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই।
লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যখন সংবিধান সংশোধন নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল, তখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীই বিলটিকে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। সর্বস্তরে বিস্তারিত আলোচনা হওয়া দরকার। আমার মনে হয়, সংসদে বেশি সময় নষ্ট না করে,বিলটিকে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো উচিত। যৌথ সংসদীয় কমিটিতে সবকিছু নিয়ে আলোচনা হবে। যৌথ কমিটি রিপোর্টের ভিত্তিতে মন্ত্রিসভার যখন ফের পাঠাবে, তখন আবার আলোচনা তো হবেই।’ সেই হিসেবে শুক্রবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিনে বিলটি নিয়ে আলোচনার জন্য জেপিসিতে পাঠানো হয়। জেপিসি’তে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলে রয়েছে সাকেত গোখলে ও কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়।
বিরোধীদের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও সরকার পক্ষে বেশি ভোট পড়ায় সংসদে ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিল পেশে আর কোনও বাধা ছিল না। সেইমতো মঙ্গলবার সংসদে এই বিল পেশ হয়েছিল। তবে তা পাস করানোর পথে হাঁটতে চায়নি কেন্দ্র। এই অবস্থায় বিলটি কবে সংসদে পাস হবে, কবে তা আইনে পরিণত হবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। বিলটি এবার জেপিসিতে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবারই শেষ হয়ে গেল শীতকালীন অধিবেশন।