অসমে তেল প্রকল্প নিয়ে সরব পরিবেশকর্মীরা, জীববৈচিত্র্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা

- আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৫, শনিবার
- / 88
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অসমের পরিবেশ ও বন দফতরে চিঠি লিখলেন পরিবেশকর্মীরা। অসমের ডিব্রু-সাইখোয়া অঞ্চলে একটি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র গড়ে তোলা জন্য ওয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেড অনুমতি দিয়েছে। এই অঞ্চলটি গোটা বিশ্বে জীববৈচিত্র্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসাবে পরিচিত। ওয়েল ইন্ডিয়াকে দেওয়া অনুমতি অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশকর্মীরা। ৩৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থিত ডিব্রু-সাইখোয়া জাতীয় উদ্যানটি নানা জাতির প্রাণীর আবাসস্থল হিসাবে পরিচিত। সাদা ডানাওয়ালা কাঠের হাঁস, গাঙ্গেয় ডলফিন এবং বেঙ্গল ফ্লোরিকান-সহ কিছু বিপন্ন প্রজাতির থাকার জায়গা এই উদ্যান। চিঠিতে গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রের জন্য ওয়েলকে দেওয়া অনুমতির বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি জানানো হয়েছে। পরিবেশের ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবেশকর্মীরা।
আরও পড়ুন: পৃথিবীতে টিকে থাকতে গেলে চাই গতি, গতিই এদের করেছে শ্রেষ্ঠ
২০২০ সালে ওয়েলের ভগজান তেলকূপের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। যা ডিব্রু-সাইখোয়া জাতীয় উদ্যান থেকে মাত্র ১.৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ওই এলাকায বিস্ফোরণের ফলে গাছপালা, জলাভূমি এবং বন্যপ্রাণীর বিপুল পরিমাণে ক্ষতি হয়েছিল।একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছিল, ওই ঘটনার ফলে প্রায় ৪১ শতাংশ গাছের ক্ষতি হয়। জলাভূমিতে ক্লোরোফিলের মাত্রা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং বন্যপ্রাণীর ক্ষতি হয়। ২০২৪ সালে বন উপদেষ্টা কমিটি ডিব্রু-সাইখোয়া জাতীয় উদ্যানের ভিতরে সাতটি কূপের খননে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সুপ্রিম কোর্ট ২০০৬ এবং ২০২৩ সালে জাতীয় উদ্যানের আশেপাশে খননের কাজ নিষিদ্ধ করে। পরিবেশ ও সামজকর্মী অপূর্ব বল্লভ গোস্বামী ২৭ মার্চ একটি চিঠিতে লিখেছেন, “ডিব্রু-সাইখোয়া প্রকল্পে পরিবেশের চেয়ে বাণিজ্যিকরণের দিকে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে।”