৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করায় ইস্টার্ন কোলফিল্ডকে চার লক্ষ টাকা জরিমানা হাইকোর্টের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৩, সোমবার
  • / 9

পারিজাত মোল্লা:  সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠে শিক্ষকদের বেতন সংক্রান্ত মামলা। এদিন শিক্ষকদের বেতন না দেওয়ায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রোষের মুখে পড়ল ইস্টার্ন কোলফিল্ড।

ক্ষুব্ধ  বিচারপতি এদিন এজলাসে বলেন, -‘চালাতে না পারলে আদানিদের বেচে দিন’ । এই সংস্থা নিজেদের স্কুলের শিক্ষকদের মাত্র পাঁচ হাজার টাকা মাসিক বেতনও দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। এতেই বেজায় চটে যান কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এটা কি কোনও সভ্য নাগরিক সহ্য করবে ?

ন্যায়ালয় কি সহ্য করবে ?  স্বাধীনতার অমৃত মহোত্‍সব পালন হচ্ছে, আর ইসিএল-এর প্রাথমিক শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন না। স্কুল না চালাতে পারলে আদানিকে বেচে দিন। শিক্ষকরা কি ভিখারি, যে তাঁদেরকে ভিক্ষা দেন! তাঁদের বেতন বন্ধ করে দিয়েছেন ?”

এই কথা বলে ইস্টার্ন কোলফিল্ডকে চার লক্ষ টাকা রেজিস্ট্রার জেনারেলকে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কোলফিল্ডের আইনজীবী জানান, “আমাদের পক্ষ থেকে সমস্যা হবে, আমাদের কর্মী নন এঁরা ।” বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় তখন বলেন, “সমস্যা হলে সমস্যা হবে । আপনারা খুব কেয়ারলেস । শুধু শিক্ষকদের বেতন না দিতে আপনারা খুব সিরিয়াস। স্পেশাল অফিসারের রিপোর্টে জানা গিয়েছে টাকা দেওয়া হয়নি। সেই রিপোর্ট কি অস্বীকার করবেন ?”এরপর শিক্ষকদের বেতন না দেওয়া নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, “সারা দেশে কী চলছে! গরিবদের উপর অত্যাচার চলছে । ওরা কি ভিখারি নাকি ? সিবিআইকে বলতে পারি ওই মামলায় তদন্ত করার জন্য ।

আমি সেই সব শিক্ষকদের জন্য নির্দেশ দেব, যাঁরা মাত্র পাঁচ হাজার টাকার জন্য আদালত পর্যন্ত ছুটে এসেছেন ।”কোনও শিক্ষকের সাত বছর, কোনও শিক্ষকের দশ মাস বেতন বাকি । সেই বেতনের দাবিতেই হাইকোর্টে মামলা করেন স্কুলের শিক্ষকরা । উল্লেখ্য,  এ রাজ্য ও ঝাড়খণ্ডে বেশ কিছু স্কুল রয়েছে ইস্টার্ন কোলফিল্ডের। সেখানে পড়ানোর জন্য শিক্ষকরা মাসিক পাঁচ হাজার টাকা করে বেতন পান। কিন্তু দীর্ঘ সাত বছর তাঁদের অনেককেই কোনও বেতন দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিন এই মামলায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে চার লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারপতি।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করায় ইস্টার্ন কোলফিল্ডকে চার লক্ষ টাকা জরিমানা হাইকোর্টের

আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৩, সোমবার

পারিজাত মোল্লা:  সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠে শিক্ষকদের বেতন সংক্রান্ত মামলা। এদিন শিক্ষকদের বেতন না দেওয়ায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রোষের মুখে পড়ল ইস্টার্ন কোলফিল্ড।

ক্ষুব্ধ  বিচারপতি এদিন এজলাসে বলেন, -‘চালাতে না পারলে আদানিদের বেচে দিন’ । এই সংস্থা নিজেদের স্কুলের শিক্ষকদের মাত্র পাঁচ হাজার টাকা মাসিক বেতনও দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। এতেই বেজায় চটে যান কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এটা কি কোনও সভ্য নাগরিক সহ্য করবে ?

ন্যায়ালয় কি সহ্য করবে ?  স্বাধীনতার অমৃত মহোত্‍সব পালন হচ্ছে, আর ইসিএল-এর প্রাথমিক শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন না। স্কুল না চালাতে পারলে আদানিকে বেচে দিন। শিক্ষকরা কি ভিখারি, যে তাঁদেরকে ভিক্ষা দেন! তাঁদের বেতন বন্ধ করে দিয়েছেন ?”

এই কথা বলে ইস্টার্ন কোলফিল্ডকে চার লক্ষ টাকা রেজিস্ট্রার জেনারেলকে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কোলফিল্ডের আইনজীবী জানান, “আমাদের পক্ষ থেকে সমস্যা হবে, আমাদের কর্মী নন এঁরা ।” বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় তখন বলেন, “সমস্যা হলে সমস্যা হবে । আপনারা খুব কেয়ারলেস । শুধু শিক্ষকদের বেতন না দিতে আপনারা খুব সিরিয়াস। স্পেশাল অফিসারের রিপোর্টে জানা গিয়েছে টাকা দেওয়া হয়নি। সেই রিপোর্ট কি অস্বীকার করবেন ?”এরপর শিক্ষকদের বেতন না দেওয়া নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, “সারা দেশে কী চলছে! গরিবদের উপর অত্যাচার চলছে । ওরা কি ভিখারি নাকি ? সিবিআইকে বলতে পারি ওই মামলায় তদন্ত করার জন্য ।

আমি সেই সব শিক্ষকদের জন্য নির্দেশ দেব, যাঁরা মাত্র পাঁচ হাজার টাকার জন্য আদালত পর্যন্ত ছুটে এসেছেন ।”কোনও শিক্ষকের সাত বছর, কোনও শিক্ষকের দশ মাস বেতন বাকি । সেই বেতনের দাবিতেই হাইকোর্টে মামলা করেন স্কুলের শিক্ষকরা । উল্লেখ্য,  এ রাজ্য ও ঝাড়খণ্ডে বেশ কিছু স্কুল রয়েছে ইস্টার্ন কোলফিল্ডের। সেখানে পড়ানোর জন্য শিক্ষকরা মাসিক পাঁচ হাজার টাকা করে বেতন পান। কিন্তু দীর্ঘ সাত বছর তাঁদের অনেককেই কোনও বেতন দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিন এই মামলায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে চার লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারপতি।