২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পৃথিবীর ওজন ৬ ‘রোনাগ্রাম’

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২২, রবিবার
  • / 12

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ পরিমাপের এককে যোগ হল নতুন পালক। বিশ্বের একক ব্যবস্থা ইন্টারন্যাশনাল সিস্টেম অব ইউনিটসে (এসআই) নতুন এককের নাম যুক্ত হল। এগুলো হল-‘রোনাগ্রাম’ ও ‘কোয়েটামিটার’। নতুন একক নির্ধারণ করতে ভোটাভুটি হয় ফ্রান্সে। নতুন এককের প্রয়োজনের সমর্থনেই ভোট পড়ে বেশি। এত দিন সর্বোচ্চ পরিমাণ বোঝাতে অন্যতম পরিচিত উপসর্গ বা প্রিফিক্স ছিল কিলো। এখন কিলোর জায়গায় সর্বোচ্চ উপসর্গ হল রোনা, কোয়েটা। সর্বোনিম্ন উপসর্গ রন্টো ও কোয়েকটো। এ বছর ২৭তম ‘জেনারেল কনফারেন্স অন ওয়েটস অ্যান্ড মেজারস’ অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা। এই কমিটিই এসআই ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। ৪ বছর অন্তর প্যারিসে এই সম্মেলন হয়। নয়া উপসর্গগুলোর প্রয়োজনীয়তা ও তাদের অনুমোদন দেওয়া নিয়ে ব্রিটেনের ‘ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরি’ প্রথম প্রস্তাব দিয়েছিল। শনিবার তারা জানায়, তাদের প্রস্তাব পাস হয়েছে। ১৯৬০ সালে এসআই ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৯১ সালে বড় এককের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রথম সরব হন রসায়নবিদরা। বড় আণবিক পরিমাণের জন্য তারা আনেন জেট্টা ও ইয়োট্টা। এক ইয়োট্টামিটার হল ১-এর পরে ২৪টি শূন্য। কিন্তু এতেও চাহিদা মিটছিল না। আরও বড় একক চাই। ব্রিটেনের ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরির প্রধান রিচার্ড ব্রাউন বলেন, ‘নতুন উপসর্গগুলো অনেক পরিমাণ বোঝাতে ব্যবহার করা হবে। যেমন- পৃথিবীর ওজন ৬ রোনাগ্রাম, ৬ এর পরে ২৭টি শূন্য বসালে যে সংখ্যা হয়, তত গ্রাম। বৃহস্পতির ওজন ২ কোয়েটাগ্রাম, ২ এর পরে ৩০টি শূন্য।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পৃথিবীর ওজন ৬ ‘রোনাগ্রাম’

আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ পরিমাপের এককে যোগ হল নতুন পালক। বিশ্বের একক ব্যবস্থা ইন্টারন্যাশনাল সিস্টেম অব ইউনিটসে (এসআই) নতুন এককের নাম যুক্ত হল। এগুলো হল-‘রোনাগ্রাম’ ও ‘কোয়েটামিটার’। নতুন একক নির্ধারণ করতে ভোটাভুটি হয় ফ্রান্সে। নতুন এককের প্রয়োজনের সমর্থনেই ভোট পড়ে বেশি। এত দিন সর্বোচ্চ পরিমাণ বোঝাতে অন্যতম পরিচিত উপসর্গ বা প্রিফিক্স ছিল কিলো। এখন কিলোর জায়গায় সর্বোচ্চ উপসর্গ হল রোনা, কোয়েটা। সর্বোনিম্ন উপসর্গ রন্টো ও কোয়েকটো। এ বছর ২৭তম ‘জেনারেল কনফারেন্স অন ওয়েটস অ্যান্ড মেজারস’ অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা। এই কমিটিই এসআই ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। ৪ বছর অন্তর প্যারিসে এই সম্মেলন হয়। নয়া উপসর্গগুলোর প্রয়োজনীয়তা ও তাদের অনুমোদন দেওয়া নিয়ে ব্রিটেনের ‘ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরি’ প্রথম প্রস্তাব দিয়েছিল। শনিবার তারা জানায়, তাদের প্রস্তাব পাস হয়েছে। ১৯৬০ সালে এসআই ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৯১ সালে বড় এককের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রথম সরব হন রসায়নবিদরা। বড় আণবিক পরিমাণের জন্য তারা আনেন জেট্টা ও ইয়োট্টা। এক ইয়োট্টামিটার হল ১-এর পরে ২৪টি শূন্য। কিন্তু এতেও চাহিদা মিটছিল না। আরও বড় একক চাই। ব্রিটেনের ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরির প্রধান রিচার্ড ব্রাউন বলেন, ‘নতুন উপসর্গগুলো অনেক পরিমাণ বোঝাতে ব্যবহার করা হবে। যেমন- পৃথিবীর ওজন ৬ রোনাগ্রাম, ৬ এর পরে ২৭টি শূন্য বসালে যে সংখ্যা হয়, তত গ্রাম। বৃহস্পতির ওজন ২ কোয়েটাগ্রাম, ২ এর পরে ৩০টি শূন্য।’