৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগামী বছরে মিলবে ডেঙ্গি ভ্যাকসিন, দাবি ICMR-এর

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 109

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আগামী বছরের মাঝমাঝি সময় আসতে চলেছে ডেঙ্গির ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে এদেশেরই দুই সংস্থা। প্যানাসিয়া বায়োটেক এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মডিক্যাল রিসার্চ(আইসিএমআর), এই দুই সংস্থার দীর্ঘদিনের গবেষণায় তৈরি হতে চলেছে ডেঙ্গি ভ্যাকসিন। ডেঙ্গির দেশীয় সংস্করণের নাম ‘ডেঙ্গি-অল’। বিভিন্ন প্রতিষেধক নিয়ে দেশজুড়ে চলছে ভ্রাম্যমান প্রদর্শনী। মঙ্গলবার কলকাতায় এসে এই তথ্য জানিয়েছেন আইসিএমআর-এর প্রাক্তন মহানির্দেশক ডাঃ বলরাম ভার্গব। পাঁচ বছর আগে ভার্গব সংস্থার অধিকর্তা থাকার সময় এই ভ্যাকসিন তৈরি শুরু হয়েছিল। ভ্যাকসিনের ফলে ডেঙ্গি সংক্রমণে রাশ টানা যাবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।

তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছর দেশে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ।  পশ্চিমবঙ্গে গড়ে ৭০ হাজার। যার মধ্যে মৃত্যুর হার শতাধিক। সূত্র অনুসারে, ‘ডেঙ্গি অল’ এই ভ্যাকসিনটি তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল একেবার চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। টেট্রাভ্যালেন্ট ভ্যাকসিনটি ডেঙ্গি ভাইরাসের চারটি স্ট্রেন (ডেন–১, ২, ৩, ৪) থেকেই সুরক্ষা দেবে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ফল খুবই আশানুরূপ হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে দেশের ১৮টি রাজ্যের ১৯টি শহরের মোট ১০ হাজার ৩৩৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক অংশগ্রহণ করেছেন। তবে বাজারে কবে ভ্যাকসিনটি আসবে তা এখনই জানা যায়নি। ২০২৬–এর মাঝামাঝি সময়ে বাজারে ভ্যাকসিনটি চলে আসবে, দাবি আইসিএমআর–এর।

প্রতি বছর জুলাইয়ের পর ডেঙ্গির যে প্রার্দুভাব ঘটে তা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। ‘ডেঙ্গি অল’ ভ্যাকসিনের দাম কত হবে তা এখনও জানা যায়নি। তবে সাধারণের নাগালের মধ্যে থাকবেই বলে মনে করা হচ্ছে। গ্লোবাল ভ্রাম্যমান প্রদর্শনী ‘ভ্যাকসিনস, ইঞ্জেক্টিং হোপ’ কর্মসূচির সূচনায় মঙ্গলবার সায়েন্স সিটিতে আয়োজিত একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেছিলেন ভার্গব। ইতিমধ্যেই দিল্লি, নাগপুর, মুম্বই, বেঙ্গালুরুতে এই প্রদর্শনী হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার পয়লা বৈশাখ থেকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর কলকাতার সায়েন্স সিটিতে চলবে এই প্রদর্শনী। কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় একটি বাসেও এই প্রদর্শনী দেখা যাবে। উদ্দেশ্য, টিকা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি।  কর্মসূচিতে সহায়তা করছে ব্রিটেনের ওয়েলকাম গ্রুপ এবং আইসিএমআর।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আগামী বছরে মিলবে ডেঙ্গি ভ্যাকসিন, দাবি ICMR-এর

আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আগামী বছরের মাঝমাঝি সময় আসতে চলেছে ডেঙ্গির ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে এদেশেরই দুই সংস্থা। প্যানাসিয়া বায়োটেক এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মডিক্যাল রিসার্চ(আইসিএমআর), এই দুই সংস্থার দীর্ঘদিনের গবেষণায় তৈরি হতে চলেছে ডেঙ্গি ভ্যাকসিন। ডেঙ্গির দেশীয় সংস্করণের নাম ‘ডেঙ্গি-অল’। বিভিন্ন প্রতিষেধক নিয়ে দেশজুড়ে চলছে ভ্রাম্যমান প্রদর্শনী। মঙ্গলবার কলকাতায় এসে এই তথ্য জানিয়েছেন আইসিএমআর-এর প্রাক্তন মহানির্দেশক ডাঃ বলরাম ভার্গব। পাঁচ বছর আগে ভার্গব সংস্থার অধিকর্তা থাকার সময় এই ভ্যাকসিন তৈরি শুরু হয়েছিল। ভ্যাকসিনের ফলে ডেঙ্গি সংক্রমণে রাশ টানা যাবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।

তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছর দেশে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ।  পশ্চিমবঙ্গে গড়ে ৭০ হাজার। যার মধ্যে মৃত্যুর হার শতাধিক। সূত্র অনুসারে, ‘ডেঙ্গি অল’ এই ভ্যাকসিনটি তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল একেবার চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। টেট্রাভ্যালেন্ট ভ্যাকসিনটি ডেঙ্গি ভাইরাসের চারটি স্ট্রেন (ডেন–১, ২, ৩, ৪) থেকেই সুরক্ষা দেবে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ফল খুবই আশানুরূপ হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে দেশের ১৮টি রাজ্যের ১৯টি শহরের মোট ১০ হাজার ৩৩৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক অংশগ্রহণ করেছেন। তবে বাজারে কবে ভ্যাকসিনটি আসবে তা এখনই জানা যায়নি। ২০২৬–এর মাঝামাঝি সময়ে বাজারে ভ্যাকসিনটি চলে আসবে, দাবি আইসিএমআর–এর।

প্রতি বছর জুলাইয়ের পর ডেঙ্গির যে প্রার্দুভাব ঘটে তা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। ‘ডেঙ্গি অল’ ভ্যাকসিনের দাম কত হবে তা এখনও জানা যায়নি। তবে সাধারণের নাগালের মধ্যে থাকবেই বলে মনে করা হচ্ছে। গ্লোবাল ভ্রাম্যমান প্রদর্শনী ‘ভ্যাকসিনস, ইঞ্জেক্টিং হোপ’ কর্মসূচির সূচনায় মঙ্গলবার সায়েন্স সিটিতে আয়োজিত একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেছিলেন ভার্গব। ইতিমধ্যেই দিল্লি, নাগপুর, মুম্বই, বেঙ্গালুরুতে এই প্রদর্শনী হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার পয়লা বৈশাখ থেকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর কলকাতার সায়েন্স সিটিতে চলবে এই প্রদর্শনী। কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় একটি বাসেও এই প্রদর্শনী দেখা যাবে। উদ্দেশ্য, টিকা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি।  কর্মসূচিতে সহায়তা করছে ব্রিটেনের ওয়েলকাম গ্রুপ এবং আইসিএমআর।