৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিক্ষোভ দমনে নৃশংস অত্যাচার, ‘অধিকারের লড়াই’য়ে কৃষকদের পাশে মমতা

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, মঙ্গলবার
  • / 10

কলকাতা, ১৩ ফেব্রুয়ারি: কৃষক আন্দোলনে ফের উত্তাল দিল্লি সীমানা৷ অবরুদ্ধ করে দেওয়া হল দিল্লি প্রবেশে রাস্তা৷ নূন্যতম সহায়ক মূল্যের দাবিতে কৃষক আন্দোলন ঠেকাতে মাঠে নেমেছে অমিত শাহের পুলিশ। বিক্ষোভ দমন করতে কার্যত ‘আয়রন হ্যান্ড’ পলিসি নিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। মিছিলে চালানো হয়েছে লাঠি, ড্রোন থেকে ছোড়া হচ্ছে কাঁদানে গ্যাস। কৃষকদের উপর নৃশংস অত্যাচার নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

কৃষকদের উপর কাঁদানে গ্যাস দিয়ে আক্রমণ করা হচ্ছে। এভাবে কী দেশ এগোবে? প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কৃষকদের উপর বিজেপির নৃশংস অত্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কৃষকদের পাশে এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লিখেছেন, “কৃষকরা তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করছে। কৃষকদের উপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হচ্ছে। তাদের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। আমাদের দেশ কীভাবে উন্নতি করবে? কৃষকদের উপর বিজেপির নৃশংস আক্রমণের তীব্র নিন্দা করছি।”

মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির অত্যাচারের প্রসঙ্গে বলেন, “কৃষক ও শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা এবং সেই সঙ্গে বৃথা জনসংযোগ স্টান্ট ‘বিকশিত ভারত’-এর বিভ্রমকে উন্মোচিত করেছে। এভাবে বিক্ষোভ দমন করার চেষ্টা না করে বিজেপির উচিত নিজেদের অহং এবং ক্ষমতা দখলের লোভ দমন করা। মনে রাখা দরকার, এই কৃষকরাই আমাদের অন্ন সংস্থান করেন। সরকারের নৃশংসতার বিরুদ্ধে আমাদের কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।”

 

উল্লেখ, মঙ্গলবার সরকারের প্রতিশ্রুতি মতো এমএসপি না পাওয়ার ক্ষোভ নিয়ে দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছিলেন কৃষকরা৷ আর সেই আন্দোলনই মারাত্মক রূপ নেয় দেশের রাজধানীর সীমানায়৷ অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয় দিল্লি প্রবেশে রাস্তা৷ অন্য সীমান্তগুলির তুলনায় এদিন বেশি অশান্ত হয়ে পড়ে পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানার শম্ভু সীমান্ত এলাকা৷ সেখানে দিল্লি চলো মিছিল আটকাতে উপস্থিত ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ মিছিলের মধ্যে থেকেই প্রতিবাদী কৃষকদের একাংশকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ আম্বালার কাছে মিছিল আটকে দেওয়া হয়৷ তার পরেই প্রতিবাদীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়৷ কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি৷

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিক্ষোভ দমনে নৃশংস অত্যাচার, ‘অধিকারের লড়াই’য়ে কৃষকদের পাশে মমতা

আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, মঙ্গলবার

কলকাতা, ১৩ ফেব্রুয়ারি: কৃষক আন্দোলনে ফের উত্তাল দিল্লি সীমানা৷ অবরুদ্ধ করে দেওয়া হল দিল্লি প্রবেশে রাস্তা৷ নূন্যতম সহায়ক মূল্যের দাবিতে কৃষক আন্দোলন ঠেকাতে মাঠে নেমেছে অমিত শাহের পুলিশ। বিক্ষোভ দমন করতে কার্যত ‘আয়রন হ্যান্ড’ পলিসি নিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। মিছিলে চালানো হয়েছে লাঠি, ড্রোন থেকে ছোড়া হচ্ছে কাঁদানে গ্যাস। কৃষকদের উপর নৃশংস অত্যাচার নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

কৃষকদের উপর কাঁদানে গ্যাস দিয়ে আক্রমণ করা হচ্ছে। এভাবে কী দেশ এগোবে? প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কৃষকদের উপর বিজেপির নৃশংস অত্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কৃষকদের পাশে এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লিখেছেন, “কৃষকরা তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করছে। কৃষকদের উপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হচ্ছে। তাদের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। আমাদের দেশ কীভাবে উন্নতি করবে? কৃষকদের উপর বিজেপির নৃশংস আক্রমণের তীব্র নিন্দা করছি।”

মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির অত্যাচারের প্রসঙ্গে বলেন, “কৃষক ও শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা এবং সেই সঙ্গে বৃথা জনসংযোগ স্টান্ট ‘বিকশিত ভারত’-এর বিভ্রমকে উন্মোচিত করেছে। এভাবে বিক্ষোভ দমন করার চেষ্টা না করে বিজেপির উচিত নিজেদের অহং এবং ক্ষমতা দখলের লোভ দমন করা। মনে রাখা দরকার, এই কৃষকরাই আমাদের অন্ন সংস্থান করেন। সরকারের নৃশংসতার বিরুদ্ধে আমাদের কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।”

 

উল্লেখ, মঙ্গলবার সরকারের প্রতিশ্রুতি মতো এমএসপি না পাওয়ার ক্ষোভ নিয়ে দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছিলেন কৃষকরা৷ আর সেই আন্দোলনই মারাত্মক রূপ নেয় দেশের রাজধানীর সীমানায়৷ অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয় দিল্লি প্রবেশে রাস্তা৷ অন্য সীমান্তগুলির তুলনায় এদিন বেশি অশান্ত হয়ে পড়ে পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানার শম্ভু সীমান্ত এলাকা৷ সেখানে দিল্লি চলো মিছিল আটকাতে উপস্থিত ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ মিছিলের মধ্যে থেকেই প্রতিবাদী কৃষকদের একাংশকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ আম্বালার কাছে মিছিল আটকে দেওয়া হয়৷ তার পরেই প্রতিবাদীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়৷ কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি৷