৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মায়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭০০

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 45

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে মায়ানমারে উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। সেই সঙ্গেই বৃদ্ধি পাচ্ছে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা। সে দেশে ভূমিকম্পে শুক্রবার থেকে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে   ২ হাজার ৭১৯ জনের।  সেই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের।মায়ানমারের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইরাবতী’র রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সেই দেশে প্রায় ৬০টি মসজিদ ভেঙে পড়েছে এই ভূমিকম্পের জেরে। রমযান মাসের শেষ শুক্রবার অর্থাৎ জুমাতুল বিদার দিনে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তখন জুমার নামায আদায়ে মসজিদে ছিলেন বেশিরভাগ মুসল্লি। এই ভূমিকম্পে অন্ততপক্ষে ৭০০ জন মুসল্লির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।  স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের তথ্যানুসারে, মান্দালয়, সাগাইং, নেপিদো, পাইনমানা, পিয়াবওয়ে, ইয়ামেথিন, থাজি, মেইকটিলা, কিয়াউকসে এবং পালেইক শহরে মসজিদগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।  ভূমিকম্পের পর অনেক এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার সেই ভাঙা মসজিদের সামনেই ইদের নামাযের জন্য জড়ো হন শয়ে শয়ে মানুষ।

আরও পড়ুন:গুজরাটে বাজি কারখানায় নিহত ও আহতদের আর্থিক সাহায্য, প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা

ভূমিকম্পে নিহত মানুষের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মঙ্গলবার টেলিভিশনে এক ভাষণে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। এক শতাব্দীর বেশি সময়ে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার কোনো দেশে আঘাত হানা এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। শুক্রবারের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল সাগাইং অঞ্চল। উৎপত্তিস্থলের কাছেই মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের অবস্থান। মান্দালয়ের একজন আন্তর্জাতিক উদ্ধার কমিটির কর্মী জানান, ‘ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়ার পর মানুষ এখন আফটারশকের আতংকে আছে এবং বাইরে রাস্তায় বা খোলা মাঠে ঘুমাচ্ছে। শহরগুলোতে নিরাপদ স্থানের সংকটে দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। এ অবস্থায় তাঁবুর জরুরি প্রয়োজন। এদিকে যাদের ঘর অক্ষত রয়েছে তারাও ঘরের ভেতরে ঘুমাতে ভয় পাচ্ছেন।’

মায়ানমারে ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে ভূমিকম্পের ঘটনায় ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, সামরিক বাহিনী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে এবং ভূমিকম্পের পরও বিমান হামলা চালানো হয়েছে। সেখানে বেঁচে যাওয়া মানুষের জন্য জরুরি ভিত্তিতে খাবার, জল ও আশ্রয় প্রয়োজন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মায়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭০০

আপডেট : ১ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে মায়ানমারে উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। সেই সঙ্গেই বৃদ্ধি পাচ্ছে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা। সে দেশে ভূমিকম্পে শুক্রবার থেকে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে   ২ হাজার ৭১৯ জনের।  সেই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের।মায়ানমারের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইরাবতী’র রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সেই দেশে প্রায় ৬০টি মসজিদ ভেঙে পড়েছে এই ভূমিকম্পের জেরে। রমযান মাসের শেষ শুক্রবার অর্থাৎ জুমাতুল বিদার দিনে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তখন জুমার নামায আদায়ে মসজিদে ছিলেন বেশিরভাগ মুসল্লি। এই ভূমিকম্পে অন্ততপক্ষে ৭০০ জন মুসল্লির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।  স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের তথ্যানুসারে, মান্দালয়, সাগাইং, নেপিদো, পাইনমানা, পিয়াবওয়ে, ইয়ামেথিন, থাজি, মেইকটিলা, কিয়াউকসে এবং পালেইক শহরে মসজিদগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।  ভূমিকম্পের পর অনেক এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার সেই ভাঙা মসজিদের সামনেই ইদের নামাযের জন্য জড়ো হন শয়ে শয়ে মানুষ।

আরও পড়ুন:গুজরাটে বাজি কারখানায় নিহত ও আহতদের আর্থিক সাহায্য, প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা

ভূমিকম্পে নিহত মানুষের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মঙ্গলবার টেলিভিশনে এক ভাষণে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। এক শতাব্দীর বেশি সময়ে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার কোনো দেশে আঘাত হানা এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। শুক্রবারের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল সাগাইং অঞ্চল। উৎপত্তিস্থলের কাছেই মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের অবস্থান। মান্দালয়ের একজন আন্তর্জাতিক উদ্ধার কমিটির কর্মী জানান, ‘ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়ার পর মানুষ এখন আফটারশকের আতংকে আছে এবং বাইরে রাস্তায় বা খোলা মাঠে ঘুমাচ্ছে। শহরগুলোতে নিরাপদ স্থানের সংকটে দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। এ অবস্থায় তাঁবুর জরুরি প্রয়োজন। এদিকে যাদের ঘর অক্ষত রয়েছে তারাও ঘরের ভেতরে ঘুমাতে ভয় পাচ্ছেন।’

মায়ানমারে ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে ভূমিকম্পের ঘটনায় ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, সামরিক বাহিনী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে এবং ভূমিকম্পের পরও বিমান হামলা চালানো হয়েছে। সেখানে বেঁচে যাওয়া মানুষের জন্য জরুরি ভিত্তিতে খাবার, জল ও আশ্রয় প্রয়োজন।