নয়াদিল্লি, ২৫ ডিসেম্বরঃ দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচারও চলছে জোরকদমে। আর এর মধ্যেই আপের জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দুটি প্রকল্প, অর্থাৎ মহিলা সম্মান যোজনা এবং সঞ্জীবনী স্বাস্থ্য প্রকল্প নিয়ে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এদিকে ভুয়ো মামলায় ফাঁসিয়ে দিল্লির ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী অতিশীকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি দিল্লি সরকারের মহিলা সম্মান যোজনা এবং সঞ্জীবনী যোজনা নিয়ে অসন্তুষ্ট উপরাজ্যপাল। নানা প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
এরপরই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল অভিযোগ করেন, “বিজেপি গত ১০ বছর ধরে দিল্লির বাসিন্দাদের অসুবিধায় ফেলতে ষড়যন্ত্র করেছে। বিজেপি লেফটেন্যান্ট গভর্নরের মাধ্যমে দিল্লি সরকারের কাজ বন্ধ করতে থাকে। কিন্তু দিল্লি সরকার কাজ করতে থাকে। যখন এই সমস্ত ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়, তখন তারা শীর্ষস্থানীয় আপ নেতা ও মন্ত্রীদের জেলে পাঠাতে শুরু করে।
কাজ এখনও বন্ধ হয়নি। বিজেপি এখন দেখতে পাচ্ছে যে দিল্লিতে উন্নয়ন কাজ চলছে এবং তাদের ঐতিহাসিক পরাজয় সময়ের অপেক্ষামাত্র।” ভোটে ফের জিততে আপ গত ১০ বছর কাজের ও আগামীর লক্ষ্য নিয়ে একটি ইতিবাচক প্রচার চালাচ্ছে।
কেজরিওয়ালের কথায়, “আমরা আমাদের কাজের কথা লোকদের বলছি, আমরা স্কুল ও হাসপাতাল উন্নত করেছি, চব্বিশ ঘন্টা বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দিয়েছি, জল সরবরাহ করেছি, মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে বাসে চড়ার ব্যবস্থা করেছি, বয়স্কদের জন্য তীর্থযাত্রা করেছি এবং তারপরে আমরা ভোট চাইছি।” বিস্ফোরক অভিযোগ করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মহিলা সম্মান যোজনায় প্রতিমাসে মহিলাদের জন্য ২১০০ টাকা এবং বয়স্কদের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য সঞ্জীবনী যোজনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আপ। এরপরই বিজেপি নেতারা ইডি, সিবিআই এবং আয়কর আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
সেখানেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”কেজরির দাবি, দিল্লি পরিবহন বিভাগে অতিশীর বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা তৈরি করা হচ্ছে এবং লক্ষ্য মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে বাস যাত্রা বন্ধ করা।