পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ শর্তসাপেক্ষে ‘রক্ষাকবচ’ পেলেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আদালতের অনুমতি ছাড়া গ্রেফতার করা যাবে না, অনুব্রত মণ্ডলকে। অনুব্রত’র বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না, সিবিআই। তবে অনুব্রত’র বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত চালাতে পারবে সিবিআই। সেই তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে অনুব্রতকে।
বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। সেখানেই অনুব্রতর পক্ষ থেকে সিবিআই-এর কাছে ৮ সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়।
আদালতে অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল বলেন,, যে অনুব্রত একবার জানিয়েছেন তিনি উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। অনুব্রত একবার বলেছেন ক্রনিক অ্যাস্থমা আছে। এ দিকে উনি ৩১ তারিখও ট্রাভেল করেছেন, যাতায়াত করেছেন, এর কী মানে?
পাল্টা অনুব্রতর আইনজীবী বলেন, আমি বোলপুরে থাকি, আমাকে ডেকেছে দুর্গাপুরে। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, তাহলে কী আবেদন করছেন অনুব্রত? অনুব্রতর আইনজীবী বলেন, তাঁদের জায়গা মতো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হোক আর রক্ষা কবচ দেওয়া হোক। এ ছড়া কোথায় জিজ্ঞাসাবাদ হবে, বোলপুর না দুর্গাপুর, তাই নিয়েও চলে শুনানি। শেষ পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে রক্ষাকবচ দেয় হাই কোর্ট।
উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী মামলায় সিবিআইয়ের তলব পাওয়ার পরে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। এই পরিস্থিতিতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু কলকাতায় এসেই অসুস্থ হয়ে পড়েন অনুব্রত। তার পরেই এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। সেই খানেই চিকিৎসকরা পরীক্ষা করা হচ্ছে অনুব্রতকে। উডবার্ন ব্লকের ফার্স্ট ফ্লোরের একটি কেবিনে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন খুন হয় বীরভূমের বিজেপি কর্মী গৌরব সরকার। সেই খুনের ঘটনায় উঠে আসে অনুব্রত মণ্ডলের নাম। গত ২৮ জানুয়ারি তাকে তলব করে সিবিআই। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে যান অনুব্রত।
এদিকে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রতব্রত ইস্যুতে সুর চড়িয়ে বলেন, সিবিআই আর ইডি হল বিজেপির রত্ন। যখনই একটি করে নির্বাচন সামনে আসে তখনই সিবিআই এবং ইডির তৎপরতা বাড়ে। সব মুখ বন্ধ করার জন্য, যাতে বিজেপির বিরুদ্ধে একটি কথাও না বলতে পারা যায়।
সামনেই বীরভূমের নির্বাচন রয়েছে। তার জন্যই নোটিশ পাঠানো হয়েছে অনুব্রতকে। এমনিতে রাজনৈতিকভাবে পারবে না। তাই তৃণমূল নেতাদের সিবিআই এবং ইডিয়ের তলব করা হয় শুধুমাত্র নির্বাচনের আগে, যাতে তাদের নিয়ে কথা বলার সুযোগ পায় বিরোধী পক্ষ।