পুবের কলম প্রতিবেদক: বেহালায় যেভাবে চড়ক মেলাকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তাতে উদ্বিগ্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তার স্পষ্ট বার্তা, কোনওভাবে সাধারণ মানুষের অসুবিধা তৈরি করে এমন কাজ দল সমর্থন করবে না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বৃহস্পতিবার বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, বেহালায় চড়ক মেলা নিয়ে হওয়া সংঘর্ষের ঘটনায় যারা যুক্ত আছেন তাদের কোনভাবে দল সমর্থন করবে না। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ মানুষের অসুবিধা হয় এমন কাজ সমর্থন করে না। কাজেই বেহালার ঘটনায় রাজনীতির রং দেখা হবে না। যারা রাতে তাণ্ডব চালিয়েছে তারা যে দলেরই হোক তাদের প্রতি কোনও সমবেদনা নেই দলের। আইন আইনের পথে চলবে। এদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেবে পুলিশ প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ তুলে এদিন বেহালা উত্তরের বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি ভিড় জমান তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের একাংশ। যারা গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন মহিলা। তাদের অভিযোগ ছিল পুলিশ মিথ্যে মামলা দিয়ে তাদের পরিবারের লোককে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। যদিও তাদের এই বক্তব্যকে তেমন আমল দিতে রাজি নন বিধায়ক। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতেই হবে। এরপর পুলিশ এবং আদালত ঠিক করবে তারা দোষী না নিরপরাধ। ঘটনার দিন যা ঘটেছে সমস্ত কিছু সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা আছে। এক্ষেত্রে যদি আপনাদের বাড়ির লোকেরা নিরপরাধ হন তাহলে পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। বাপনকে বলুন পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে। পালিয়ে থেকে পুলিশি তদন্ত থেকে পার পাওয়া যাবে না।
এ বিষয়ে বিধায়ক হিসেবে আমি কোনও সমর্থন করবো না। আমার দায় বদ্ধতা মানুষের কাছে। সাধারণ মানুষ এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও উদ্বিগ্ন তিনি বার বার ফোন করে খোঁজ নিচ্ছেন। আমি মানুষকে একটা বিষয়ে আশ্বস্ত করতে পারি তৃণমূল করে বলে কোনো অপরাধীকে আড়াল করা হবে না। চড়কতলার ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শাস্তি হবেই।