ওয়াশিংটন: আমেরিকার সরবরাহ করা মিসাইল দিয়ে রাশিয়ায় ইউক্রেনের হামলার তীব্র নিন্দা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যা ঘটছে, তা সম্পূর্ণ পাগলামি।’ টাইম ম্যাগাজিনের ২০২৪ সালের ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ বা বর্ষসেরা ব্যক্তি নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাম্প। সেখানে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা পাগলামি। রাশিয়ার কয়েকশো মাইল ভেতরে ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ নিয়ে আমার তীব্র আপত্তি রয়েছে। আমরা ওটা কেন করছি? আমরা শুধু এই যুদ্ধে উত্তেজনা বাড়াচ্ছি এবং এটিকে আরও খারাপ করে ফেলছি। এটা করতে দেওয়া উচিত হবে না।’
তবে কী ট্রাম্পের আমলে ইউক্রেন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে পরিবর্তন আসতে চলেছে? ট্রাম্পের এই মন্তব্য সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। গত মাসে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ভোটের পর বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভেতরে হামলার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। যুদ্ধে কিয়েভের মনোবল বাড়াতে এটা ছিল বাইডেনের শেষ চেষ্টা। তার আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বারবার এ অনুমোদন চেয়েছিলেন। কিন্তু শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র অনুমতি দেয়নি। গত মাসে অনুমোদন দেওয়ার পক্ষে যুক্তি হিসেবে হোয়াইট হাউস বলেছে, উত্তর কোরিয়ার ১৫ হাজার সেনাকে যুদ্ধ করতে ইউক্রেন পাঠিয়েছে রাশিয়া। মূলত এ কারণে নিজের মত পরিবর্তন করছেন বাইডেন।
প্রায় তিন বছর ধরে ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি দ্রুত এ যুদ্ধের অবসান চান। এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য তিনি দিতে চাননি। তিনি টাইমকে বলেছেন, সাহায্য করার জন্য তাঁর কাছে ‘দারুণ একটি পরিকল্পনা আছে’। কিন্তু তিনি যদি এখন সেটি প্রকাশ করে দেন, তবে ‘সেটা প্রায় অর্থহীন একটি পরিকল্পনায় পরিণত হবে’। আগামী ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প।