পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গোটা বিশ্বের প্রযুক্তি দুনিয়ার অন্দরে কান পাতলেই মূলত দুটি ঘটনার ব্যাপারে শোনা যাচ্ছে। এক, ব্যাপক হারে আইটি-কর্পোরেট জগতে কর্মী ছাঁটাই। দুই, চ্যাটজিপিটির বাজিমাত। ক্রমান্বয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় প্রভাব বিস্তার করছে এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স। প্রযুক্তির এই ব্যবহার এক সময় মানুষের ব্যক্তিগত স্বত্তাকে পুরোপুরি বাজারজাত করে ফেলবে বলেই আশঙ্কা করছেন বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। এবার এআই নিয়ে নয়া তথ্য পেশ করল সংস্থার সিইও। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শুধু কর্মক্ষেত্রে নয়, গণতন্ত্রের ওপরও ব্যাপক প্রভাব ফেলতে চলেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
ইতিমধ্যে বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে শুরু হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর প্রয়োগ। ক্রমশ এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর শুধু এই কারণেই আগামী কয়েক বছরে চাকরি খোয়াতে চলেছেন বহু সংখ্যক মানুষ। এমন আশঙ্কা বরাবরই ছিল। এবার অন্য এক নতুন বিপদের কথা তুলে ধরলেন স্যাম অল্টম্যান।
চ্যাটজিপিটি-এর প্রধান সংস্থা ওপেনএআই-এর সিইও স্যাম অল্টম্যান, মঙ্গলবার মার্কিন সেনেট কমিটির সামনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
অল্টম্যান আইন-প্রণেতাদের বলেছেন যে, চ্যাটবটগুলির ব্যবহার করে খুব সহজেই গুজব ছড়ানো সম্ভব হবে। এবং নির্বাচনে এহেন ছল-চাতুরির প্রভাব গণতন্ত্রকে বিপন্ন করতে পারে বলে তাঁর আশঙ্কা। ওপেনএআই-এর মতো সংস্থাগুলোকে স্বাধীনভাবে যাচাই বাছাই করা উচিত বলেও জানান তিনি। তাই এক্ষেত্রে সরকারি নজরদারি এবং নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
এদিন তিনি আরও বলেন, এআই “ছাপাখানার” মতো এক যুগান্তকারী প্রযুক্তি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বহুল ব্যবহারের ভাল দিক যেমন আছে, তেমনই রয়েছে নেতিবাচক কিছু বিষয়। তার মধ্যে অন্যতম হল কর্মী ছাঁটাই। কারণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগের জন্য সংস্থাগুলি যেমন কিছু কর্মী নিয়োগ করবে, তেমনই এর ব্যবহারের ফলে পুরনো অনেক কর্মীদের ছাঁটাই করা হবে। অর্থনীতিতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলে জানান অল্টম্যান।