৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেন্দ্রের নির্দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হোম আইসোলেশনের গাইডলাইনে বদল রাজ্যের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১০ জানুয়ারী ২০২২, সোমবার
  • / 6

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ কেন্দ্রের নির্দেশিকার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবার হোম আইসোলেশনের নির্দেশিকায় বদল আনল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। হোম আইসোলেশন বা কোভিড কেয়ারে চিকিৎসাধীন রোগীদের ক্ষেত্রে পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর সাতদিন আইসোলেশন এ থাকতে হবে এর মধ্যে যদি রোগীর টানা ৩ দিন জ্বর না আসে তাহলে তার আইসোলেশন সাত দিনেই শেষ হয়ে যাবে। সাতদিন আইসোলেশন এ থাকার পর মৃদু উপসর্গের জন্য যাদের চিকিৎসা চলছিল তাদের দ্বিতীয়বারের জন্য পরীক্ষাও করাতে হবে না।

এছাড়া যে সমস্ত রোগীদের কোমর্বিডিটি রয়েছে তাদের অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়া পরপর তিনদিন দেহের অক্সিজেনের মাত্রা তিরানব্বই শতাংশের বেশি হলে সাত দিন পরেই শেষ হয়ে যাবে আইসোলেশন।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের এই নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে গাইডলাইন মেনে তৈরি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে– কেন্দ্রীয় সরকার মৃদু উপসর্গ নিয়ে হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের জন্য যে নির্দেশিকা জারি করেছে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে এই গাইড লাইন তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্রের এই নির্দেশিকায় আগেই আইসোলেশনে থাকার সময়সীমা ১০ থেকে কমিয়ে সাতদিন করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে বলা হয়েছিল আলাদা করে প্রয়োজন পড়বে না সাত দিনের পর নতুন করে আর পরীক্ষার। এবার রাজ্য সেই নির্দেশ মেনে নিয়েছে। তবে এর মাঝে লক্ষ্য রাখতে হবে আইসোলেশন এর দিন তখনই সাতদিন হবে– যখন পরপর তিনদিন রোগীর আর জ্বর আসবে না। অথবা কারো কোমর্বিডিটি থাকলে পরপর তিনদিন অক্সিজেন সাপোর্ট ছাড়া কারো দেহে অক্সিজেনের পরিমাণ তিরানব্বই শতাংশের বেশি।

ইতিমধ্যেই রাজ্যে করোনার ঢেউ হবে আছড়ে পড়েছে– তাতে চিকিৎসকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আক্রান্তের মাত্র ১- যদি আইসিইউ বা অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। আগামীদিনে তা বড় সংকট ডেকে আনতে পারে। কারণ প্রত্যেক দিন যদি নিয়ম করে ৩০ হাজারের কাছাকাছি আক্রান্ত হয় তাদের চিকিৎসা দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো কোনো সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে কাছে নেই। আর এই সময় তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে হোম আইসোলেশন বা কোভিড কেয়ার সেন্টার গুলোতে ভর্তি থাকা রোগীদের জন্য আইসোলেশনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার বিষয়টি।

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কেন্দ্রের নির্দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হোম আইসোলেশনের গাইডলাইনে বদল রাজ্যের

আপডেট : ১০ জানুয়ারী ২০২২, সোমবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ কেন্দ্রের নির্দেশিকার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবার হোম আইসোলেশনের নির্দেশিকায় বদল আনল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। হোম আইসোলেশন বা কোভিড কেয়ারে চিকিৎসাধীন রোগীদের ক্ষেত্রে পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর সাতদিন আইসোলেশন এ থাকতে হবে এর মধ্যে যদি রোগীর টানা ৩ দিন জ্বর না আসে তাহলে তার আইসোলেশন সাত দিনেই শেষ হয়ে যাবে। সাতদিন আইসোলেশন এ থাকার পর মৃদু উপসর্গের জন্য যাদের চিকিৎসা চলছিল তাদের দ্বিতীয়বারের জন্য পরীক্ষাও করাতে হবে না।

এছাড়া যে সমস্ত রোগীদের কোমর্বিডিটি রয়েছে তাদের অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়া পরপর তিনদিন দেহের অক্সিজেনের মাত্রা তিরানব্বই শতাংশের বেশি হলে সাত দিন পরেই শেষ হয়ে যাবে আইসোলেশন।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের এই নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে গাইডলাইন মেনে তৈরি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে– কেন্দ্রীয় সরকার মৃদু উপসর্গ নিয়ে হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের জন্য যে নির্দেশিকা জারি করেছে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে এই গাইড লাইন তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্রের এই নির্দেশিকায় আগেই আইসোলেশনে থাকার সময়সীমা ১০ থেকে কমিয়ে সাতদিন করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে বলা হয়েছিল আলাদা করে প্রয়োজন পড়বে না সাত দিনের পর নতুন করে আর পরীক্ষার। এবার রাজ্য সেই নির্দেশ মেনে নিয়েছে। তবে এর মাঝে লক্ষ্য রাখতে হবে আইসোলেশন এর দিন তখনই সাতদিন হবে– যখন পরপর তিনদিন রোগীর আর জ্বর আসবে না। অথবা কারো কোমর্বিডিটি থাকলে পরপর তিনদিন অক্সিজেন সাপোর্ট ছাড়া কারো দেহে অক্সিজেনের পরিমাণ তিরানব্বই শতাংশের বেশি।

ইতিমধ্যেই রাজ্যে করোনার ঢেউ হবে আছড়ে পড়েছে– তাতে চিকিৎসকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আক্রান্তের মাত্র ১- যদি আইসিইউ বা অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। আগামীদিনে তা বড় সংকট ডেকে আনতে পারে। কারণ প্রত্যেক দিন যদি নিয়ম করে ৩০ হাজারের কাছাকাছি আক্রান্ত হয় তাদের চিকিৎসা দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো কোনো সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে কাছে নেই। আর এই সময় তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে হোম আইসোলেশন বা কোভিড কেয়ার সেন্টার গুলোতে ভর্তি থাকা রোগীদের জন্য আইসোলেশনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার বিষয়টি।