শুভজিৎ দেবনাথ, ডুয়ার্স: পর্যটক দের কাছে টানতে বানারহাট ব্লকের চামূর্চি গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে পিবিজি ফান্ডের প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা ব্যায় করে বসানো হলো পার্কের সামনে আই লাভ চামূর্চি ফলক সহ একটি বিশ্রাম শেড। সবুজে ঢাকা ভুটান পাহাড়ের বুক চিরে নেমে এসেছে নদী। চিরসবুজে ঢাকা পাহাড়ের কোলে দু-দেশের মাঝে যেনো জিরো পয়েন্ট! মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে সুদৃশ্য এই পার্ক, তারই মাঝে এই আই লাভ ইউ ফলক ভ্রমণ পিপাসুদের পাশাপাশি বর্তমান প্রজন্মের ছেলে ও মেয়েদের কাছে যেনো সেলফি জোন হয়ে দাঁড়িয়েছে।পুজোর মরশুমে এবারে এখানে অনেকটাই ভিড় হবে বলে আশাবাদী স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে শুরু করে এলাকার বাসিন্দারা।পার্কে রয়েছে খাবার থেকে শুরু করে রাত্রি যাপন করার ব্যাবস্থাও।
কোথায় অবস্থিত এই ইকো পার্ক?
ডুয়ার্সের বানারহাটের বুক চিরে যাওয়া ইন্দো ভুটান সার্ক রোড ধরে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাজারের ভেতর দিক দিয়ে কিছুটা পথ গেলেই মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত চামুর্চি ইকোপার্ক।যায় একপাশে রয়েছে পাহাড় অন্যপাশে পাহাড় থেকে নেমে আসা নদী ,তার মাঝেই প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের কোলে তৈরি হয়েছে ইকো পার্ক। যেখানে খুব সহজেই দেখা মিলতে পারে বিভিন্ন ধরনের পাখি,ময়ূর এমনকি হরিণের ও। এখানে পর্যটকরা যেমন প্রকৃতির কোলে সতেজ বাতাস থেকে নিশ্বাস নিতে পারবেন, তেমনি দেশি বিদেশি পাখির কলতানে তারা মুগ্ধ হবেন।
উল্লেখ্য,এতদিন ডুয়ার্সে আসা আই লাভ ফলকের ছবি ও সেলফি তুলতে পর্যটকদের ঘুরতে যেতে হতো বক্সা ,গরুমারা,মূর্তি,লাভা, মিরিক। তবে ঘরের কাছে পাহাড় ও জঙ্গল ঘেরা এরই মাঝে গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যেগে নির্মিত নতুন করে এই ফলক এবারে পর্যটকদের আকর্ষনের মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে। চলতি মাসের পুজোর ছুটি থেকেই শুরু হবে পর্যটকদের আনাগোনা। এমনকি পর্যটকদের ভিড় টানতে সক্ষম হবেন এই ফলক ,এমনটাই আশা করছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে ঘুরতে আসা এক পর্যটক গৌতম পাল জানিয়েছেন আগের চামুর্তির সঙ্গে আজকের চামুর্চির বিস্তার ফারাক রয়েছে। একদিকে যেমন পর্যটকদের থাকার সু বন্দোবস্ত রয়েছে, অন্যদিকে আই লাভ চামূর্চি ফলক বসানোয় এই এলাকার সৌন্দর্য আরো কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। আশা করছি শুধুমাত্র রাজ্যের নয়, রাজ্যের বাইরে পর্যটকরাও এই এলাকায় আসবেন এর সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য।
স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় মুখার্জি বলেন,ফলকটি আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে বসানো হয়েছে।ধন্যবাদ জানাই গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে। এতদিন আমরা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে গিয়ে এধরনের ফলক দেখতে পেতাম এবং ছবি তুলতাম। এখন আমাদের ঘরের কাছেই এই ফলক পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত।পর্যটকরাও ঘুরতে এসে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করছেন এবং সেই ছবি দেখে অনেকেই আসছে ।
এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান চন্দনা রায় বলেন,গ্রাম পঞ্চায়েতের পিবিজি ফান্ডের থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ব্যায় করে এই ফলক ও বিশ্রাম সেড নির্মাণ করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় আমরা দেখেছি বর্তমানে এই ধরনের ফলক নির্মাণ করতে সেই থেকেই আমরা অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের এলাকাকে সাজিয়ে তুলতে এই ফলক বসিয়েছি। এতে সকলেই খুশি পর্যটকরা এসে ছবি তুলছে।