২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের উদাহরণ টেনে দফা বাড়ানোতে সওয়াল

- আপডেট : ২৩ জুন ২০২৩, শুক্রবার
- / 12
পারিজাত মোল্লা: শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলে। এদিন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অর্থাৎ কেন্দ্রের আইনজীবী অশোক চক্রবর্তী জানান -‘ ২০১৩ সালের মডেল অনুসরণ করলে বাহিনীর অভাব হবেনা। তিনি এদিন বলেন,-‘ রাজ্য নির্বাচন কমিশন ২০১৩ সালের মডেল অনুসরণ করলে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব’। ,অর্থাৎ একাধিক দফায় ভোট করার পক্ষে সওয়াল কেন্দ্রের আইনজীবীর।
গত ২০১৩ সালে প্রথমে রাজ্য নির্বাচন কমিশন তিন দফায় ভোট ঘোষণা করেছিল। পরে বাহিনীর অভাবের কারণে তা বাড়িয়ে করা হয়েছিল পাঁচ দফা। দশ বছর আগেকার সেই পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের সঙ্গে রাজ্য সরকার ও শাসকদল তৃণমূলের সংঘাত যে জায়গায় পৌঁছেছিল তা কার্যত মাইলফলক হয়ে রয়েছে।সুপ্রিম কোর্ট অবধি গিয়েছিলেন তৎকালীন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। কেন্দ্রের আইনজীবীর সূরে সূর মিলিয়ে এদিন হাইকোর্টে বিরোধী দলনেতা
শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীও দফা বাড়িয়ে ভোট করানোর পক্ষে সওয়াল করেন। সংবিধান বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন , ‘কত দফায় ভোট হবে? তা ঠিক করার এক্তিয়ার একমাত্র রাজ্য নির্বাচন কমিশনেরই। এ ব্যাপারে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না’। তবে বর্তমান পরিস্থিতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে আদালত অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে যেকোনো নির্দেশ দিতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে,-‘ ২০১৩ সালের থেকে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে পঞ্চায়েত ভোট করতে হবে’। আর চ্যালেঞ্জের পথে না হেঁটে একপ্রকার রণে ভঙ্গ দিয়েই আদালতের নির্দেশ মতো ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, – একবারে এত বাহিনী পাঠানো সম্ভব নয়। আপাতত ৩১৫ কোম্পানি পাঠানো হচ্ছে’।এদিন ফের বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু শেষপর্যন্ত যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাহিদামত না আসে তাহলে পরিস্থিতি বদলাতে পারে।বিশেষত আইনী লড়াইয়ের ময়দানে।