নয়াদিল্লি, ১৪ জানুয়ারি: সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন ইডি আধিকারিক বিশাল দীপ। সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কথিত অবৈধ কাজের তদন্ত করায় তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করা হচ্ছে। ওই মামলা আগাম জামিনের আবেদন করেছেন চণ্ডীগড় সিবিআই আদালতে।
আগাম জামিনের আবেদনে বিশাল দাবি করেছেন, তাঁকে দুর্নীতির মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বিশাল দাবি করেছেন, সিবিআইয়ের ঊর্ধ্বতন আধিকারিক এবং অভিযোগকারীদের বাঁচাতে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। যাঁরা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তারা নিজেরাই দুর্নীতিতে জড়িত।
ঘুষ মামলায় ইডি আধিকারিক বিশাল দীপের বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। এই এফআইআর-এর খবর প্রকাশ্যে আসে গত ২২ ডিসেম্বর। বিশাল দীপের বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগ করেছেন দেবভূমি গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনের সভাপতি ভূপিন্দর কুমার শর্মা এবং হিমালয়ান গ্রপ অফ প্রোফেশনাল ইনস্টিটিউশনস-এর সভাপতি রজনীশ বনশল। দু’জনেই অভিযোগ করেছেন ইডি আধিকারিক বিশাল দীপ এবং অন্য আধিকারিকরা তাঁদের গ্রেফতারি আটকাতে ঘুষ দাবি করেছিলেন।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, ইডি আধিকারিক বিশাল দীপ হিমালয়ান গ্রুপ অফ প্রফেশনাল ইনস্টিটিউশনের চেয়ারম্যান রজনীশ বনশালের কাছ থেকে মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেফতারি ঠেকাতে ১.১ কোটি টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন। বিশাল তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, সিমলায় ইডি-র সহকারী পরিচালক-২ হিসেবে হিমাচল প্রদেশে ছাত্রবৃত্তি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত তদন্ত করছিলাম।
তিনি অভিযোগ করেন, তদন্তের সময় সিবিআই ডিএসপি এবং এক অভিযোগকারী তাঁকে ঘুষ নিতে প্ররোচিত করেন। এই আর্থিক দুর্নীতির প্রথম তদন্তকারী আধিকারিক ছিলেন সিবিআইয়ের ডিএসপি। ইডি আধিকারিক বিশাল দীপ ঘুষ নিতে অস্বীকার করায় সিবিআই ডিএসপি তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে বদলি করার হুমকি দেন। হুমকি সত্ত্বেও দীপ ঘুষ নিতে অস্বীকার করেন এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৬৬ ধারার অধীনে ওই দুই সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন।