৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফের কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আগে ও পরের দিন পরীক্ষা!

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৯ মে ২০২৩, সোমবার
  • / 16

পুবের কলম প্রতিবেদক:  রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বিভিন্ন ধর্মের উৎসবকে সম্মান জানিয়ে ছুটি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

 

বছরে মুসলিমদের মূল উৎসব দুটি—একটি ঈদ-উল- ফিতর, আর অন্যটি ইদ-উল- আযহা। এই দুই উৎসবে যোগদানের জন্য দূরদূরান্তে থাকলেও যে, যাঁর বাড়িতে ফিরে যান।

 

মাদ্রাসা ,স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা এই উৎসবকে সাড়ম্বরে পালন করে থাকেন। বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে সেমিস্টার পরীক্ষা। সেই পরীক্ষার দিনক্ষণও এই উৎসবের আগে ও পরে করা হয়।  এতে মুসলিম সম্প্রদায়ের উৎসবকে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না।

 

কারণ  ঈদ-উল-ফিতর এবং ঈদ-উল-আযহার প্রস্তুতি শুরু হয় আগে থেকেই। ঈদের পরের দিনেও উৎসবের একটা রেশ থাকে। তাছাড়া ঈদ-উল-আযহা তিন দিন ধরে চলে। ইসলাম ধর্মের মূল এই উৎসবের ছুটিকে কেন মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না, সেই নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে।

 

দুই ঈদের ছুটি আরও বাড়ানো যায়, সেদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজর দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষকশিক্ষিকা ও বিশিষ্ট মহল।

 

 

ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্ন, অনেকে উত্তর বঙ্গে থাকেন, কিন্তু পড়াশোনা তাঁদের কলকাতায়। তাহলে তারা উৎসব পালন করবে কী ভাবে, আর পরীক্ষাই-বা কীভাবে দেওয়া সম্ভব হবে।

 

মুসলিম সম্প্রদায়ের এই দুই উৎসবের তারি’ নিয়ে উদাসীন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ঈদের আগে ও পরের দিনটি যাতে কোনও ভাবে পরীক্ষা রা’া না হয়, তার জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

 

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের ছাত্র মেহেবুব হোসেন লস্কর বলেন, ঈদের আগে ও পরের দিন পরীক্ষা এই প্রথম নয়, এর আগেও হয়েছে। আমাদের পরীক্ষা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, উৎসবও গুরুত্ব পূর্ণ। পড়ুয়াদের স্বার্থে ঈদের আগে ও পরের দিন পরীক্ষা না রাখলেই ভালো হয়।

 

এই বিষয়টি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাপ্রাপ্ত উপাচার্য আশিষ চট্টোপাধ্যায় রবিবার পুবের কলমকে বলেন, স্নাতকোত্তরের বিষয়গুলির পরীক্ষা নির্ধারণ করে বিভাগীয় প্রধানরা। পড়ুয়াদের সমস্যার বিষয়টির দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। বিভাগীয় প্রধানরাই বিষয়টি ঠিক করবে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র এদিন বলেন, বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং বিভাগীয় প্রধানকে জানানো হয়েছে।  মুসলিম পড়ুয়াদের স্বার্থে পরীক্ষার দিনক্ষণ পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তরা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ফের কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আগে ও পরের দিন পরীক্ষা!

আপডেট : ২৯ মে ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম প্রতিবেদক:  রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বিভিন্ন ধর্মের উৎসবকে সম্মান জানিয়ে ছুটি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

 

বছরে মুসলিমদের মূল উৎসব দুটি—একটি ঈদ-উল- ফিতর, আর অন্যটি ইদ-উল- আযহা। এই দুই উৎসবে যোগদানের জন্য দূরদূরান্তে থাকলেও যে, যাঁর বাড়িতে ফিরে যান।

 

মাদ্রাসা ,স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা এই উৎসবকে সাড়ম্বরে পালন করে থাকেন। বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে সেমিস্টার পরীক্ষা। সেই পরীক্ষার দিনক্ষণও এই উৎসবের আগে ও পরে করা হয়।  এতে মুসলিম সম্প্রদায়ের উৎসবকে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না।

 

কারণ  ঈদ-উল-ফিতর এবং ঈদ-উল-আযহার প্রস্তুতি শুরু হয় আগে থেকেই। ঈদের পরের দিনেও উৎসবের একটা রেশ থাকে। তাছাড়া ঈদ-উল-আযহা তিন দিন ধরে চলে। ইসলাম ধর্মের মূল এই উৎসবের ছুটিকে কেন মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না, সেই নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে।

 

দুই ঈদের ছুটি আরও বাড়ানো যায়, সেদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজর দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষকশিক্ষিকা ও বিশিষ্ট মহল।

 

 

ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্ন, অনেকে উত্তর বঙ্গে থাকেন, কিন্তু পড়াশোনা তাঁদের কলকাতায়। তাহলে তারা উৎসব পালন করবে কী ভাবে, আর পরীক্ষাই-বা কীভাবে দেওয়া সম্ভব হবে।

 

মুসলিম সম্প্রদায়ের এই দুই উৎসবের তারি’ নিয়ে উদাসীন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ঈদের আগে ও পরের দিনটি যাতে কোনও ভাবে পরীক্ষা রা’া না হয়, তার জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

 

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের ছাত্র মেহেবুব হোসেন লস্কর বলেন, ঈদের আগে ও পরের দিন পরীক্ষা এই প্রথম নয়, এর আগেও হয়েছে। আমাদের পরীক্ষা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, উৎসবও গুরুত্ব পূর্ণ। পড়ুয়াদের স্বার্থে ঈদের আগে ও পরের দিন পরীক্ষা না রাখলেই ভালো হয়।

 

এই বিষয়টি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাপ্রাপ্ত উপাচার্য আশিষ চট্টোপাধ্যায় রবিবার পুবের কলমকে বলেন, স্নাতকোত্তরের বিষয়গুলির পরীক্ষা নির্ধারণ করে বিভাগীয় প্রধানরা। পড়ুয়াদের সমস্যার বিষয়টির দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। বিভাগীয় প্রধানরাই বিষয়টি ঠিক করবে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র এদিন বলেন, বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং বিভাগীয় প্রধানকে জানানো হয়েছে।  মুসলিম পড়ুয়াদের স্বার্থে পরীক্ষার দিনক্ষণ পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তরা।